যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) দুই কর্মচারীর হাতুড়ি পেটায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।
আহত আব্দুল্লাহ আল মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউট্রেশন এন্ড ফুড টেকনোলজি (এনএফটি) বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
আহত মামুন ও তার সহপাঠীরা জানান, পড়াশোনার পাশাপাশি মামুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এক খন্ড জমি কিনে ফটোস্ট্যাটের দোকান পরিচালনা করে আসছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বাদল ও তার লোকজন ওই জমিটি দখল নিতে মরিয়া উঠেছে। এই ঘটনায় মামলা করলে আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দেয়। বিষয়টি জানার পর বাদল ও তার লোকজন বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মামুনকে পেয়ে বিবাদে জড়ায়। এক পর্যায়ে বাদল, সিকিউরিটি গার্ড সাগরসহ কয়েকজন মামুনকে হাতুড়ি ও ইট দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাত সাড়ে দশটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সারিউল আলম বলেন, আহত শিক্ষার্থীর শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
নির্যাতিত অভিযোগ দিলে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ অর্ণব।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ সিকিউরিটি গার্ড সাগরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। তিনি বলেন, সাগরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।