সীমান্তের অবহেলিত জনপদের উন্নয়নের দাবিতে লড়াই সংগ্রামের অপরনাম- সজন

অবহেলিত বেনাপোল পৌরসভার উন্নয়ন এর জন্য লড়াই সংগ্রামে যে নামটি বার বার জড়িত সেই নাম হচ্ছে মফিজুর রহমান স্বজন। প্রায় ৪ দশক এই জনপদের মানুষের জন্য রাস্তাঘাট, রেল চলাচল, মংলা বন্দর থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর বেনাপোলকে পৌরসভা করা, ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বেনাপোল হয়ে কাগজপুকুর পর্যন্ত বাইপাস সড়ক, নতুন করে পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে যশোর , নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু পর্যান্ত সড়কটি ৬ লেনে উন্নতী করন, স্থল বন্দরের টার্মিনাল নির্মান, ভারতীয় ট্রাক টার্মিনাল, বন্দরের জায়গা সংকট এর কারনে জমি অধিগ্রহন সহ ভিওি কনফারেন্সের মাধ্যেমে প্রধান মন্ত্রীকে এই জনপদের সমস্যার কথা তুলে ধরে বেনাপোলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সংগ্রামী মানুষটি। এবার পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসাবে তিনি যদি বিজয়ী হন তাহলে তার প্রথম কাজ হবে বেনাপোল স্থল বন্দরকে বঙ্গবন্ধু স্থল বন্দরে রুপান্তর করা এবং বেনাপোলে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মান করা।

দীর্ঘ ১ যুগ পর বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে যাচ্ছে বেনাপোল ব্যবসায়ি সংগঠনের সবচেয়ে বড় সংগঠন সিএন্ডএফ এর সাবেক সভাপতি, বেনাপোল উন্নয়ন পরিষদ এর সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। তিনি প্রায় ৪ দশক ধরে বেনাপোল উন্নয়ন এর ৫ দফা দাবিতে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এর মধ্যে তিনি ধাপে ধাপে কোন জনপ্রতিনিধি না হয়েও বেনাপোলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যা ইতিমধ্যে সাধারন নাগরিকরা হিসাব নিকাশ কষছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজের সাথে। এই উন্নয়নমুখি মানুষটির মধ্যে ১৯৮২ সালে ৫ দফা দাবির মধ্যে ক, বেনাপোলকে পৌরসভা করা, খ, বেনাপোল পুর্ণঙ্গ স্থল বন্দর গঠন করা, গ, বেনাপোল কাস্টমস হাউস গঠন সহ ভিত্তি স্থাপন, ঘ, বেনাপোল রেল লাইন চালু করা, এবং আইসিডি টার্মিনাল চালু করা, ঙ, এশিয়ান হাইওয়ে ৬ লাইন চালু করা।

বেনাপোলের স্বপ্নদ্রষ্টা মফিজুর রহমান স্জন এর ৫ দফা দাবির ৪ টি ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি রয়েছে এশিয়ান ৬ লেন এর কাজ। যার কাজও চলছে।১৯৮৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মাদ এরশাদ বেনাপোল আসলে তার কাছে ৪ লেনের দাবি তুলে ধরেন। এবং নোম্যান্সল্যান্ড থেকে বেনাপোল বাজার বলফিল্ড মাঠ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেন।

মফিজুর রহমান স্বজন এর নিজ অফিস কার্যালয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মেয়র হলে এই স্থল বন্দরকে জাতির জনক এর নাম করন হয়ে হবে বঙ্গবন্ধু স্থল বন্দর। আর সবথেকে যেটা বেশী প্রয়োজন সেটা হচ্ছে এখানে একটি হাসপাতাল। কারন বেনাপোল বন্দর এলাকা সহ এখানে অনেক সরকারী বেসরকারী অফিস রয়েছে। যার ফলে এখানে জরুরী চিকিৎসা সেবার জন্য প্রয়োজন একটি আধুনিক হাসপাতাল। আমার প্রথম কাজ হবে একটি হাসপাতাল নির্মান করা। আমার দাবি ছিল বেনাপোল একটি মডেল থানা । ইতিমধ্যে তাও নির্মান হয়ে গেছে বাইপাস সড়কে। শুধু উদ্বোধন এর অপেক্ষায়।

বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকার রানা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেনাপোলে একজন উন্নয়ন মুখি মানুষের প্রয়োজন। তেমনি একজন মানুষ বেনাপোল পৌরসভার সাবেক ব্যবসায়ি সংগঠনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন। তিনি বার বার বেনাপোল উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দাবি তুলে বেনাপোলকে উন্নয়ন করে তুলেছেন। সে শুধু উন্নয়ন নয় তার নিজের ও রয়েছে একটি পিকনিক স্পট। যা এ অঞ্চলের মানুষ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে বিনোদনের কিছু সময় ব্যায় করে । তার চিন্তা চেতনা ধ্যান ধারনা অন্য দশজন হতে আলাদা। তার মত একজন সৎ নির্ভিক লোক বেনাপোল পৌর সভার মেয়র হলে হয়ত আরো উন্নত হবে এই সীমান্ত শহর।