কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারায় সড়কে পিকআপ ভ্যান চাপায় ৬ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় চালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমাঈল এ রায় ঘোষণা করেন। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পিপি জানান, গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট এলাকায় বাবার শ্রাদ্ধের ক্রীয়াকর্ম করে একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ৯ ভাই-বোন। এসময় সড়কে কক্সবাজারমুখী নম্বরবিহীন একটি পিকআপ তাদের চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় মালুমঘাট খ্রিস্টান হাসপাতালে নিলে প্রথমে পাঁচ ভাই- অনুপম শীল (৪৮), নিরুপম শীল (৪৫), দীপক শীল (৪০), চম্পক শীল (৩৮) ও স্মরণ শীলকে (৪৬) মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে আহত আরেক ভাই রক্তিম শীল ২২ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতদের ভাই পল্লব সুশীল বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তভার প্রথমে হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হলেও পরে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার চারদিন পর ১২ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরে অভিযান চালিয়ে পিকআপ ভ্যান চালক সাহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে আটক করে র্যাব।
পিপি বলেন, মামলাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শেষ করা হয়। এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সার্বিক প্রক্রিয়া শেষ করে মাত্র এক বছর চার মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করা হলো। রায় ঘোষণাকালে আসামি সাহিদুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ৬ ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে গত বছরের ৩০ আগস্ট রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
