পূর্ব শত্রুতার কারনে প্রতিবেশী সন্ত্রাসীরা এক বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ করায় প্রতিবাদ করলে একই পরিবারের ৫জনকে এলোপাতাড়ী মারপিট করে নগদ ২লাখ ৮০ হাজার টাকা ভাংচুর করে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সোমবার ১২ জুন দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ( শেখপাড়া) গ্রামের চাঁদ আলী মোড়লের ছেলে সিরাজুল ইসলাম। মামলায় আসামী করেন, প্রতিবেশী আব্দুর খালেক শেখ এর ছেলে মনু শেখ, মিন্টু শেখ, নিজাম শেখ, বকা শেখ এর স্ত্রী রাজিয়া বেগম ও আলমের স্ত্রী শিউলী বেগমসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪জন। পুলিশ শহিদুল ইসলাম ওরফে বকা শেখ এর স্ত্রী রাজিয়া বেগম মৃত আলমগীর কবির ওরফে আলমের স্ত্রী শিউলী বেগমকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে ১৩ জুন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তিনি একজন ট্রলি ড্রাইভার। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আসামীরা হাতে লোহার রড,শাবল ও লাঠি সোটা নিয়ে গত ১২ জুন সোমবার রাত ১০ টায় বাদির বাড়িতে অনধিকার ঢুকে বাদিসহ তার স্ত্রী ও মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন বাদি ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) ও বাদির মাতা হাফিজা বেগম (৬৬) আসামীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে মনু শেখ এর হুকুমে মিন্টু শেখ শাবল দিয়ে বাদির বৃদ্ধা মা হাফিজা বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাম পায়ের হাটুর নীচে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত হাড় ভাঙ্গা জখম করে।মুন শেখ লোহার রড দিয়ে বৃদ্ধা হাফিজা বেগমকে বুকে,পিটে এলোপাতাড়ী আঘাত করে জখম করে। ওই সময় বাদিসহ তার স্ত্রী,বাদির ছোট ভাইয়ের বৌ তাছলী (২৪),বাদির ছেলে আকাশ (১০) ও মেয়ে ছিন্তিয়া (৭) ঠেকাতে গেলে আসামীরা লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ী মারপিট করে জখম করে।
আসামীরা বাদির ঘরে ঢুকে আসবাবপত্র দরজা,জানালা ভাংচুর করে ৪০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধণ করে। ঘরে কাঠের বাক্সে ঘর করার জন্য রাখা নগদ ২লাখ ৮০ হাজার টাকা আসামীরা কেড়ে নেয়। আসামীরা বাদির স্ত্রী পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাদির পরিবার জীবন বাঁচাতে ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আসামীরা খুন জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়। আসামীদের মারপিটে বৃদ্ধা হাফিজা বেগমকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ উল্লেখিত দু’জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।