জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জারিকারক জেলা লিগ্যাল এইড,যশোর অফিসে কর্মরত এক ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীরা বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার এক পর্যায় চাঁদা দাবি করে এটিএম কার্ড ছিনিয়ে জোর পূর্বক চাঁদা স্বরুপ ২৫ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ সবুজ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। সে যশোর শহরের পূর্ব বারান্দী মাঠপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। শনিবার ২২ জুলাই দিবাগত গভীর রাতে মামলাটি করেন, মাগুরা জেলার সদর উপজেলার উত্তর বীরপুর গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের খড়কী গোরস্তানপাড়ার মৃত সেলিম মোল্যার ছেলে জেলা লিগ্যাল এইড যশোর অফিসে কর্মরত আব্দুল্লাহ আল মামুন। রোববার ২৩ জুলাই চাঁদাবাজ সবুজ হোসেনকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, গত ১৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫ টায় তিনি মটর সাইকেল যোগে যশোর গ্রীনসিটি রেষ্টুরেন্টে যান। রেষ্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া শেষ করে বের হলে উক্ত আসামী সবুজ হোসেনসহ তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা ২জন বিভিন্ন ধরনের আপত্তিকর কথাবার্তা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামীরা বাদির নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদাদাবী করে। বাদির তাদেরকে জানায় তার কাছে এখন কোন টাকা পয়সা নেই। এক পর্যায়ে আসামীরা বাদিকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায়ে চাঁচড়া ব্রীজের উপর নিয়ে বাদির নিকট চাঁদার টাকা চাইলে বাদি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বাদিকে কিলঘুষি মারতে থাকে। বাদির পকেটে থাকা ম্যানিব্যাগের মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের এটিএম কার্ড জোর পূর্বক নিয়ে নেয় এবং বাদিকে জানায় যে বুথে গিয়ে টাকা তুলে তাদেরকে দিতে হবে। এই বলে রাত ৮ টার পর রাজারহাট এলাকার ইসলামী ব্যাংকের এটিএম বুথের সামনে নিয়ে গেলে বাদিকে প্রাণনাশের হুমকী ধামকী প্রদান করে এবং বুথ হতে টাকা তুলে দিতে বললে বাদি প্রাণের ভয়ে আসামীদের কথামতো বাদির কার্ড হতে প্রথমে ১৫হাজার টাকা ও এবং পরে আরো ১০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২৫ হাজার টাকা বুথ হতে চাঁদাবাজদে চাঁদা স্বরুপ দেয়। তখন আসামীরা বাদিকে হুমকী প্রদান করে বলে যে, এই বিষয় কাউকে কিছু বললে বাদিকে প্রাণে খুন করে ফেলবে।
এই বলে হুমকী ধামকী প্রদান করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। বাদি ঘটনার বিষয় তৎক্ষনিক থানা পুলিশকে মৌখিকভাবে জানায়। পুলিশ বাদির মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিকে আসামী সবুজ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। বাদিকে থানায় আসতে বললে বাদি থানায় এসে আসামীকে দেখে চিনে ফেলে। পরে বাদির লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়মিত মামলা রুজ হয়।