যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে নয়-ছয় অব্যাহত

jessore map

যশোর রেজিস্ট্রি অফিসের রেকর্ড রুমে নয়-ছয় অব্যাহত রয়েছে। এখানে চলছে নানা অপকর্ম। নয়-ছয়সহ বিভিন্ন অপকর্মের কারণে রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীকে জেলা জেলা রেজিষ্টার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হলেও নয়-ছয় বন্ধ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম-দুর্নীতির এক সা¤্রজ্য গড়ে তুলেছে একটি চক্র। আর এই চক্রের মূল হুতা হলেন যশোর সদরের সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান।
সূত্র জানায়, রেজিস্ট্রি অফিসের সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ জায়গা হলো রেকর্ড রুম। এই রুমে মানুষের দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষিত থাকে। এ কারণে এখানে যারা দায়িত্ব পালন করে তাদেরকে বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিভিন্ন সময়ে এই রেকর্ড রুম থেকে দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজসহ ডকুমেন্ট হায়িয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। বালাম বইয়ের পাতা ছেড়া, কাটাসহ বিভিন্ন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যে কারণে রেজিস্ট্রি অফিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রুম হলো রেকর্ড শাখা। কিন্তু বুধবার রেকর্ড রুমে কেউ দায়িত্ব না থাকায় নকল নবিশ নূর নবী সারা দিন রেকর্ড শাখার দায়িত্ব পালন করেন। আর এই সুযোগে নূর নবী এদিন বহু বইয়ের পাতা ছেড়া, কাটা করেছে বলে সূত্র দাবি করেছে।
সূত্র জানায়, রেকর্ড শাখা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা অবৈধভাবে আয় করে যারা দায়িত্বে থাকেন। এই শাখায় ভৈরব চক্রবর্তীর প্রধান সহযোগি হিসেবে নূর নবী দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছে। ফলে কোথায় কি আছে সবই জানে নূর নবী। আর রেকর্ডের অবৈধ যে আয় তার সিংহভাগ পেয়ে থাকেন সদরের সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান। এসব কারণে সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান রেকর্ড শাখাটি নূর নবীকে দিয়ে চালাতে চান।
জানা গেছে, নানা অপকর্মের কারণে রেকর্ড কিপার ভৈরব চক্রবর্তীকে গত মাসের ১৪ আগস্ট জেলা অফিসে সংযুক্ত করা হয়। ভৈরব চক্রবর্তীর স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয় রমা প্রসাদ চক্রবর্তীকে। বুধবার রমা প্রসাদ চক্রবর্তী একটি কাবিন সংক্রান্ত মামলার জন্য বালাম বই নিয়ে খুলনা যান। তিনি সারা দিন খুলনায় অবস্থানের পর বিকাল সাড়ে চারটার পর যশোর অফিসে ফেরেন। অফিসের সিসিটিভি দেখলে যার প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেকর্ড কিপার রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, বুধবার আমি যশোর ছিলাম না। সারা দিন খুলনায় অবস্থান করছিলাম। বিকাল ৩টার দিকে যশোরে ফিরি।
রেকর্ড রুমের দায়িত্ব কারো দেওয়া ছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার অ্যাসিন্ট্যান্ড নূর নবী দায়িত্বে ছিলো।
নূর নবীকে কে দায়িত্ব দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সদরের সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসান স্যার তার দায়িত্ব দিয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সদরের সাব রেজিস্ট্রার ইমরুল হাসানের ০১৭১১২১০৮৭৮ নম্বর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেব কাছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এদিন আমি সাতক্ষীরায় ছিলাম। নকল নবিশ নূর নবীকে ভারপ্রাপ্ত রেকর্ড কিপার রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর অ্যাসিস্ট্যান্ড হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, না, কারো কোন নিয়োগ দেওয়া হয়নি।