অভিনব কায়দায় তিন ভাই মিলে সোহেল রানা নামে এক ইজিবাইক
চালকের ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেওয়ার ঘটনায় কোতয়ালি থানায়
মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে মামলাটি করেন, যশোর শহরের
রেলগেট (পশ্চিমপাড়া) এলাকার মুজিবুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা।
পুলিশ তিন ভাইকে গ্রেফতার করেছে। একই সাথে উদ্ধার করেছে
ইজিবাইকটি। এরা হচ্ছে, যশোর শহরের রেলগেট, বর্তমান টালিখোলা
৫নং ওয়ার্ড শহিদের ছেলে মামুন, জুয়েল ও সুমন।
মামলায় সোহেল রানা উল্লেখ করেন, তিনি যশোর শহরের বিভিন্ন
এলাকায় ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই তিন ভাইয়ের
সাথে তার আগে থেকেই পরিচয় ছিলো। বাদি একটি পালঙ্ক কিনতে
চাইলে মামুন একটি পালঙ্ক খাট বিক্রি করবে বলে বাদিকে জানায়। বাদি
মামুনের কথায় বিশ^াস করে একটি পালঙ্ক কিনতে ইচ্ছা পোষন করেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা আড়াইটার সময় মামুন মোবাইল
ফোনে বাদিকে জানায় যে, সে একটি পালঙ্ক বিক্রি করবে। তখন বাদি
মামুনের কথায় বিশ^াস করে তার নিকট যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে
ইজিবাইক চালিয়ে রওয়ানা হয়।
পথিমধ্যে বিকেল ৩ টায় শহরের টালিখোলা গ্রামস্থ লিডেন গ্রামার চাইল্ড স্কুলের সামনে ফাঁকা
জায়গায় পৌছুলে তিন ভাইয়ের সাথে বাদি সোহেল রানার দেখা হয়।
তখন মামুন বাদিকে ইজিবাইক থেকে নামতে বললে বাদি ইজিবাইক
থেকে নেমে তিন ভাইয়ের পাশে দাড়ায়। মামুন ও তার সুমন বাদির
ইজিবাইকের মধ্যে বসে। বাদি ইজিবাইকের সাথে তার গাড়ীর চাবি
রাখাছিল। তখন জুয়েল বাদিকে পাশে ডেকে নিয়ে যায়। কিছু সময় পরে
বাদির গাড়িটি যে স্থানে রাখা ছিল সেখানে এসে দেখেন মামুন ও
সুমন বাদির ইজিবাইকটি চুরি করে নিয়ে যায়। তখন বাদি ডাক-
চিৎকার দিলে আশপাশ থেকে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে গেলে ঘটনার
বিষয় বাদি তাদেরকে জানায়। বাদির চুরি হওয়া ইজিবাইকের মূল্য ২ লাখ
টাকা। এ ব্যাপারে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে থানার এক
এসআই ইজিবাইক উদ্ধার ও তিন ভাইকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করে।
তাদেরকে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করে। #