প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ২০২৩ সালে ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো হচ্ছে ১৭৬ দেশে
আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগাঢ়ের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের প্রায় ১৭৬ দেশে কর্মী পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ ও মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ১৭ দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি সই হয়েছে। নতুন নতুন দেশ যেমন কম্বোডিয়া, সিশেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।
দেশে খাদ্য মজুত ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন
আনোয়ারুল আজী আনারের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি খাদ্য গুদামে সর্বমোট ১৬ লাখ ৭৯ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। তিনি আরও বলেন, মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মধ্যে রয়েছে ১৪ লাখ ৩৮ হাজার মেট্রেক টন চাল ও ২ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম। খাদ্য মজুত বর্তমানে সন্তোষজনক। দেশে খাদ্য মজুত বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক সূত্রে চাল এবং গম অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে চলতি আমন সংগ্রহ মৌসুমে ২ লাখ মেট্রিক টন ধান এবং ৪ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম ও এক লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে উন্মুক্ত দরপত্র ও জিটুজির আওতায় ইতোমধ্যে ৫ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির চুক্তি সম্পাদিত হয়। সম্পাদিত চুক্তির বিপরীতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন গম আমদানি সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির অবশিষ্ট গমের খালাস কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে বিদেশ থেকে চাল আমদানির কার্যক্রম এখনো গ্রহণ করা হয়নি।