ইছামতি নদীতে ডুবে যাওয়ার ২১ ঘন্টা পরও মৃত দেহ উদ্ধার হয়নি

শার্শার গোগা সীমান্তে ইছামতি নদীর ভারত অংশে পানিতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার রহমান (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মরা দেহ গত ২১ ঘন্টায় উদ্ধার হয়নি। ওই সীমান্তের মশিয়ার রহমান স্বর্ণ পাচার করতে গিয়ে ডুবে গেছে এমন গুঞ্জনে সীমান্তের দুই পাড়ে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় জমিয়েছে। রোববার রাত থেকে উভয় সীমান্তে সীমান্তরক্ষীরা টহল জোর দার করেছে। সোমবার বেলা ১২ টার সময় উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষীদের ইছামতি নদীর উপর ভারত সীমান্তে বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আজ বেলা ৪ টার সময় উভয় দেশের সহযোগিতায় পানিতে লাশ খোজা হবে উদ্ধারের জন্য।

পানিতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার শার্শা উপজেলার হরিষচন্দ্রপুর গ্রামের গোলাম রহমান এর ছেলে। সে রোববার বেলা ৫ টার সময় ভারত এর পিপলি সীমান্তের ইছামতি নদীতে ডুবে যায়।

সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ভারতীয় পিপলি সীমান্তের বিএস এফ এর টহল দল স্পিড বোড এনে ইছামতি নদীতে পাহারা জোর দার করেছে।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মশিয়ার এর কাছে ৫ কেজি স্বর্ণ ছিল। সে স্বর্ণ বহন করে ওপারে ভারতের ব্যবসায়িদের কাছে পৌছে দিত। মশিয়ার পানিতে ডুবে যাওয়ার পর পর ওই গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে হাবিবুর রহমান পলাতক রয়েছে। সে মশিয়ার এর কাছে স্বর্ণ ভারতে পাচার করতে দিয়েছিল বলে সুত্রটি দাবি করে। আর ওই স্বর্ণর মুল মালিক গোগা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান তবিবার রহমান বলেও তারা দাবি করে। এদিকে গত দ্ইু দিনে তবিবার রহমানকে ওই এলাকায় দেখা যায়নি বলে তারা জানায়।

মশিয়ার রহমান এর ছেলে হাসানুজ্জামান বলেন, তার পিতা গতকাল ভারত সীমান্তে গরুর ঘাস কাটার জন্য নদী পার হওয়ার সময় ডুবে যায়। এ পথে জসিম নামে তাদের পাশের গ্রামের একজন সাইকেল চালায় যেতে দেখে নদীর মধ্যে হাত উঁচু করে এক ব্যক্তি ইশারায় ডাকছে। তখন তারা ছুটে গিয়ে উদ্ধারের চেষ্টা করলে তাকে খুজে পাওয়া যায়নি।

স্বর্ণ পাচার এর সাথে যুক্ত হরিষচন্দ্রপুর গ্রামের পলাতক হাবিবার রহমান এর ছেলে মিরাজ রহমান বলেন, মশিয়ার পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর এর পর থেকে তার পিতা বাড়ি থেকে কোথায় চলে যায়। তাকে ফোন করে পাওয়া যাচ্ছে না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তবিবার রহমান এর সাথে তার পিতার সম্পর্ক কেমন জানতে চাইলে বলে তার সাথে ভাল সম্পর্ক। তিনি তাদের আত্নীয়।

গোগা ইউপি মেম্বার অশোক কুমার বলেন, মশিয়ার ভারত এর ইছামতি নদীতে ডুবে গেছে। অনেকে বলছে তার কাছে স্বর্ণ ছিল তাও ৫ কেজি। এমন গুঞ্জন বিশ্বাস করা যায় না। তার মরা দেহ উদ্ধার হলে সব কিছু পরিস্কার হয়ে যাবে।
বেলা সাড়ে ১০ টা থেকে ইছামতির নদীর তীরে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস এর দুটি গাড়ি ও ফায়ার কর্মীদের দেখা গেলেও পরবর্তিতে তারা চলে যায়।

গোগা ক্যাম্পের সুবেদার মতিয়ার রহমান বলেন, উভয় দেশের সহযোগিতায় পানি থেকে মশিয়ারকে উদ্ধার করা হবে।
গোগা ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান তবিবুর রহমান এর কাছে বিষয়টি জানার জন্য তার মোবাইল ফোনে ফোন দিলে সে বলে আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি পরবর্তীতে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেয়।
সর্বোশেষ এ রিপোর্ট লেখা বিকাল ৫.২৮ টা পর্যান্ত মশিয়ার রহমান এর মরা দেহ উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।