স্বর্ণ আত্নসাতে নাটকীয় ঘটনা ৪ হাত পানি থেকে উদ্ধার হয়নি মশিয়ার

শার্শার গোগা সীমান্তের ইছামতি নদীতে ডুবে যাওয়া মশিয়ার এর লাশ গত দুই দিনে ও উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার না হওয়ায় নানা গুঞ্জন চলছে সীমান্ত এলাকায়। স্বর্ণ চোরাচালানিরা মশিয়ারকে দিয়ে স্বর্ণ বহন করিয়ে মশিয়ারকে গুম করে স্বর্ণের চালান আত্নসাৎ করে নাটকীয় ভাবে নদীতে ডুবে মারা গেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। স্্েরাত বিহীন মরা নদী পানির দীর্ঘতা ও কম যেখানে সেখানে দুই দেশের সৈনিক ও ফায়ার সার্ভিস এর ডুবুরীরা খুজে না পাওয়ার যুক্তিকতা নেই বলে ইছামতি নদী পাড়ের ভীড় জমানো মানুষ এর মধ্যে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা ও জল্পনা কল্পনা।

ইছামতি নদীর পাড়ে বাড়ি রহিম বক্সের ছেলে হাবিবুর রহমান, ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। এলাকাবাসির দাবি হাবিবুরকে আটক করে জিজ্ঞাসা করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। সুত্রটি দাবি করে বলছে হাবিবকে পিছন থেকে লিড দিচ্ছে ওই ইউনিয়ন এর একজন জনপ্রতিনিধি।

এলাকবাসি জানায় হাবিব অত্যান্ত দারিদ্র সীমার মধ্যে বসবাস করত। স্বর্ণ চোরাচালানির সাথে যুক্ত হবার পর থেকে তার চলাফেরা বদলে যায়। এমনকি তার টালির বাড়ি থেকে বিল্ডং হয়েছে যা তার আয়ের সাথে কোন সামঞ্জস্যতা নেই। হাবিবর এর ছেলে মিরাজ এ প্রতিবেদককে জানায় তার বাবা পলাতক রয়েছে । তার পিতা কেন পলাতক রয়েছে যোগাযোগ করে জানাতে বললেও মিরাজ গত দুই দিনে তা জানাতে অপরগতা জানিয়েছে।

এ দিকে একটি সুত্র দাবি করে বলে, ওই ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান তবিবার রহমান পুটখালী গ্রামের আলোচিত চোরাচালানি নাসির উদ্দিন এর স্বর্ণ চোরাচালান ও অন্যান্য ব্যবসার পার্টনার। সম্প্রতি অস্ত্র পাচারের দায়ে নাসির উদ্দিন আটক হলে স্বর্ণ চোরাচালানের একটি বড় অংশ তবিবার চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করে তার মাধ্যেমে পাচার করে। এই চালানটিও তার একটি অংশ বলে বাতাসেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। স্বর্ণ বাদে নাসির এর সাথে চেয়ারম্যান তবির দুইটি ইটভাটার পার্টনারসীপ ব্যবসা রয়েছে।

ভারত বাংলাদেশের চোরাচালানীর কথিত ঘাট মালিক অশোক কুমার বলেন, মশিয়ার পানিতে ডুবে মারা গেছে এটা নাটকীয় ঘটনা হতে পারে। কারন সামান্য পানিতে গত দুই দিনে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় সৈনিকরা খুজে না পাওয়ার কোন কারন থাকতে পারে না। এখানে পানিও সামান্য। তিনি বলেন, স্বর্ণ আত্নসাৎ করতে মশিয়ারকে বলির পাঠা হতে হয়েছে বলে আমার সন্দেহ হয়।