চুয়াডাঙ্গায় বইছে তীব্র তাপদাহ, তাপমাত্রা চড়েছে ৪০.২ ডিগ্রিতে

চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ।

শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রির বেশি।

তীব্র তাপদাহে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তীব্র গরম ও রোদের তাপের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান-রিকশা চালকরা কাজ করতে না পেরে অলস সময়ও পার করছেন।

একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠাণ্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছেন স্বল্প আয়ের মানুষরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তা-ঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড় এলাকায় এক ভ্যানচালক রহিম ভাণ্ডারী বলেন, সবাই কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। দুপুরের পর থেকে তীব্র গরমে রাস্তাঘাটে আর চলার মতো উপায় নেই। যাত্রীও নেই। তাই গাছের নিচে বসে অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।

ইজিবাইকচালক শাহ আলম বলেন, রোজার মাসে এমনিতে লোকজন বাইরে কম থাকে। তার ওপর প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষের চলাচল আরও কমেছে। ফাঁকা রাস্তায় অলস ঘুরে বেড়াচ্ছি।

আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী সহিদ বিশ্বাস বলেন, ছাতা নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু কোনো কিছুতেই তাপ কমছে না। বাতাসে যেন আগুনের শিখা বয়ে যাচ্ছে। এত গরমে চলাফেরায় প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে একটানা ছয়দিন ধরে। শনিবার ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একই সঙ্গে এই তাপমাত্রা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এ ধারা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।