জলদস্যুদের ‘হাইরিস্কি এরিয়া’ পার হলো এমভি আবদুল্লাহ

বাংলাদেশ সময় বুধবার দুপুর ১২টায় সোমালিয়ায় জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি হাইরিস্ক এরিয়া পেরিয়ে গেছে। বর্তমানে প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল স্পিডে জাহাজটি দুবাই অভিমুখে চলছে।

জাহাজটির দুই পাশে এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অগ্রসর হচ্ছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে জানতে চাইলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, সব কিছু ঠিক থাকলে এমভি আবদুল্লাহ আগামী ২২ এপ্রিল সকালে গন্তব্যস্থল দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় হাইরিস্ক এরিয়া থেকে বেরিয়ে গেছে জাহাজটি।

গাল্ফ অব ওমান পেরিয়ে জাহাজটি দুবাই বন্দরে পৌঁছাবে। বর্তমানে জাহাজটি ১২ নটিক্যাল মাইল স্পিডে চলছে।

নেভির জাহাজগুলো এখনো এমভি আবদুল্লাজর কাছাকাছি আছে। নেভির জাহাজের সঙ্গে এমভি আবদুল্লাহ ক্যাপ্টেন সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।

জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পর চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। যাতে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা পার হওয়ার আগেই অন্য কোনো জলদস্যুর দল জাহাজটিতে উঠতে না পারে। একই সঙ্গে জাহাজের ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়েছে, যাতে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে ২২ এপ্রিল জাহাজটি কাঙ্ক্ষিত বন্দরে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

গত রোববার (১৪ এপ্রিল) কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই তখন আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।

গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। মুক্ত হওয়ার সময় ওই জাহাজ থেকে নেমে যায় ৬৫ জন জলদস্যু।

দুবাই নোঙর করার পর নাবিকদের দুইটি অপশন দেওয়া হবে। তারা চাইলে ফ্লাইটে কিংবা ওই জাহাজেই দেশে ফিরতে পারবেন।