বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে সমর্থকদের আগ্রহ থাকে অনেক বেশি। দুনিয়ার যে প্রান্তেই দলের খেলা হোক, পৌঁছে যান তারা।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ।
ওই ম্যাচে সমর্থকদের ভিড় ছিল অনেক।
লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের পর তারা পেয়েছেন বাড়তি প্রেরণা। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরের ম্যাচে মঠে নামবে বাংলাদেশ।
এ ম্যাচেও যে সমর্থকদের ভিড় থাকবে, সেটি জানা কথাই। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে সমর্থকদের চুপ করিয়ে দিতে চান প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মারক্রাম।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই জানিয়েছেন তিনি। আগের ম্যাচে নিজেদের সমর্থকদের দেখেও উচ্ছ্বসিত মারক্রাম।
তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এখানে বাংলাদেশের অনেক সমর্থক থাকবে। আমরা এটা লম্বা সময় ধরেই করে আসছি। বাউন্ডারি লাইনের ভেতরে কী হচ্ছে আমাদের মনোযোগ সেদিকেই। দর্শকরা যাদের বেশি সমর্থন দেয় তারা ম্যাচের মোমেন্টাম পেয়ে যায়। তারা যদি চুপ থাকে তার মানে আমরা ভালো করছি। আমরা ভালো খেলতে চাই এবং যতটা সম্ভব তাদের চুপ করিয়ে রাখতে চাই। ‘
‘এখানে আমাদের এত সমর্থক আসবে, এটা সম্ভবত আমি আশা করিনি। দেখে খুব ভালো লেগেছে। আশেপাশে অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান থাকে। তাদের খেলা দেখতে আসাটা ভিন্ন ধরনের বিনোদন। এখানে হয়তো অনেক চার বা ছক্কা হচ্ছে না, কিন্তু আমরা তাদের প্রতিনিধিত্ব করছি। সমর্থকদের এখানে আসাটা দারুণ ব্যাপার। ’
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। শ্রীলঙ্কার পর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছে তারা। এখন বাংলাদেশকে হারাতে পারলে সুপার এইটে খেলা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। সেটি করার আশা দেখছেন মারক্রাম। পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছেন নাসাউ মাঠে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচের জন্যও।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, খুব ভালো হয় তাহলে। এটা হবে টিক চিহ্ন দিতে চাওয়া আমাদের প্রথম বক্স। কিন্তু একই সঙ্গে, যে ধরনের কন্ডিশন, আর বাংলাদেশ খুবই শক্তিশালী দল। আমাদের জন্য সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ হবে। এটার দিকেই তাকিয়ে আছি। ’
‘সৌভাগ্যবশত আমরা এখানে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছি। আশা করি এটা আমাদের আরও পরিষ্কার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। আমরা ব্যাটিংয়ের দিক থেকে পরিকল্পনা করতে পারবো কীভাবে ১৪০ রান করা যায় প্রথমে ব্যাট করলে, আগে বল করলে সবই বোলারদের ওপর।