বেনাপোল স্থল বন্দর রাষ্টের গুরুত্বপূর্ন একটি চেকপোষ্ট। এ পথে প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এই চেকপোষ্ট রাষ্টের প্রধান ফটক। এর সাথে রয়েছে দেশের সন্মান মর্যদা। যার জন্য ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ বহিরাগত ও এক শ্রেনীর দালাল চক্রের অবাধে বিচারণ বন্ধ করেছে। দালালদের উৎপাত অবাধে ইমিগ্রেশন চত্বরে ঘোরাফেরা এবং পাসপোর্ট যাত্রীদের তাদের পাসপোর্ট এর আনুষ্ঠানিকতার কাজ করে দেওয়ার নামে এসব দালাল বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পাসপোর্টযাত্রীদের সাথে যা ইমিগ্রেশন ওসি পর্যবেক্ষন করে। এবং একই ব্যাক্তি বার বার কেন ইমিগ্রেশনে আসে এসব চিহিৃত করে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে। এরপর তিনি পাসপোর্ট যাত্রীদের ফলপ্রসু সেবা দেওয়ার জন্য দালাল মুক্ত করেন ইমিগ্রেশন এলাকা। ইমিগ্রেশন এর সকল গেটে নিরাপত্তার জন্য এবং দালাল শ্রেনীর লোক যাতে প্রবেশ না করে তার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ সদস্যরা।
ইমিগ্রেশনে বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের প্রধান ফটকে এপিবিএন পুলিশ, আনসার,বেসরকারি নিরাপত্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান (পিমা) সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
নিরাপত্তার স্বার্থে টার্মিনালে বসানো হয়েছে স্ক্যানিং মেশিন ও সিসি ক্যামেরা। বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ব্যবহার করে গত ৩ মাসে ৪ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছেন। যাত্রীদের কাছ থেকে এ সময় ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব আদায় করেছে কাস্টমস প্রায় ৪২ কেটি টাকা। শিশু , প্রতিবন্ধী ও ক্যান্সার রোগীরা (ভ্রমণকর মওকুফ) এই আওতার বাইরে রয়েছে।
ইমিগ্রেশন কর্তৃপ তাদের সেবার মান বৃদ্ধি করায় যাত্রীরা দ্রুত ও সুশৃঙ্খলভাবে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন নিজেরাই।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে একশ্রেণীর প্রতারকরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। সিরিয়াল ছাড়া তাদের পাসপোর্টের কাজ তাড়াতাড়ি করে দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল চক্রটি।
কিছু পত্রিকায় সম্প্রতি ইমিগ্রেশন পুলিশ ল্যাগেজ তল্লাশি করে এরকম ভুল সংবাদ প্রকাশের পর পাসপোর্ট যাত্রীরা এরকম সংবাদকে ভুল সংবাদ দাবি করে। কারন ইমিগ্রেশন শুধু মাত্র পাসপোর্ট যাচাই বাছাই করে। আর ল্যাগেজ যাচাই বাছাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে এখানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আব্দুর রশিদ নামে এক বাংলাদেশী যাত্রী জানান, আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন খুব সহজে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে পারছি। এখানে কোন হয়রানি বা বিলম্ব হয় না। তবে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতে গেলে দীর্ঘ সময় পার করতে হয়। যা অত্যান্ত বিরক্তিকর।
বেনাপোল চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ মো: আহসানুল কাদের ভূইয়া বলেন ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রী হয়রানি বন্ধে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ফলে পাসপোর্ট যাত্রী ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে ইমিগ্রেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। দীর্ঘ দিন যাবৎ ইমিগ্রেশন পুলিশ ভারত গামী দেশী বিদেশী যাত্রীদের অত্যান্ত সুনাম এর সাথে সেবা প্রদান করে আসছে। ইমিগ্রেশন এর যাতে সন্মান হানি না হয় এবং যাত্রীদের সাথে কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে তার জন্য কঠার ভুমিকা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন বর্তমানে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন। যাত্রীদের সেবার মান বাড়াতে ইমিগ্রেশনে সেবার মান বাড়ানো হয়েছে। যাত্রীরা নিজেরা ঝাঁমেলামুক্তভাবে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে কাজ সেরে নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, দেশ থেকে কোন অপরাধী পালিয়ে যেতে না পারে সেই দিকে ল্য রেখে সার্বণিক ইমিগ্রেশন অফিসাররা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। জুলাই-আগস্ট’র ঘটনায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড এবং হত্যা মামলার সাথে জড়িত ৭ জন আসামি আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।