যশোরে ভেঙ্গে ফেলা হলো দেশের প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল’।বৃহস্পতিবার(৬ ফেব্রুয়ারী) যশোরের দড়াটানায় অবস্থিত ম্যুরালটি ছাত্র জনতার উপস্থিতিতে ভেঙ্গে ফেলা হয়।এদিন বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বুলডোজারের আঘাতে ম্যুরালটি ভাঙতে শুরু করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।এসময় দড়াটানা মোড়ে উৎসুক জনতার ঢল নামে।
ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ম্যুরালটি আংশিক ভেঙে ফেলে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। তবে সেসময় ম্যুরালটি পরিপূর্ণ ভাঙ্গা না হলেও সম্প্রতি শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ম্যুরালটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও গত ৫ ফেব্রুয়ারী রাত থেকেই যশোরের বিভিন্ন সরকারি,বেসরকারি স্থাপনায় থাকা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার নামের ফলক ও ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।
ইসলামি ছাত্র মজলিস যশোরের সভাপতি মাসুদ এজাজ জানিয়েছেন,যশোরের এই বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে যশোরবাসি কলঙ্কিত মুক্ত হয়েছে। একই সাথে এই ঘটনা সকল রাজনৈতিক সংঘটনের জন্য উদাহরণ হিসেবে থাকবে। এদেশের ছাত্র জনতা আর কখনোই স্বৈরাচার এবং স্বৈরশাসকদের বাংলার মাটিতে মেনে নেবে না। তিনি একই স্থানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে স্মৃতি ফলক বানানোর দাবী জানিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের মুখপাত্র ফাহিম আল ফাত্তাহ বলেন,যশোরে স্বৈরশাসকদের কোন স্মৃতি চিহ্ন রাখা হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আওয়ামী লীগের শিকড় উপড়ে ফেলবো। বাংলার মাটিতে আর কোন স্বৈরশাসকরে জন্ম হতে দেয়া হবে না। একইসাথে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের যেকোন কর্মসূচি শক্তহাতে প্রতিহত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ম্যুরালটি উদ্বোধন করেছিলেন। এর নাম ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল’। ১৬ ফুট উচ্চতার এই ম্যুরালটি নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছিল ২৯ লাখ ৯ হাজার ৯৫ টাকা। যশোরে স্থাপিত এই ম্যুরালটিই ছিল দেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সব থেকে বড় ম্যুরাল।