ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হত্যার আট বছর পর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ পুলিশ বুরো অব উনভেস্টিগেশ পিবিআই’র একটি দল উপজেলার রাঢ়িপাড়ার কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলম। পিআইবি ইনসপেক্টর নাসির উদ্দীন এবং কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী ডেন্টাল সার্জন তানভির আহমেদ।
বিগত ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত মাজিদের ভাই আব্দুল আলিম বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। এরপর আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়ার পর তদন্তের জন্য আজ তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। ২০১৭ সালে ৫ মার্চ কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন আড়পাড়ার একটি বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
মামলার বাদি আব্দুল আলিম জানান, আমাদের বাড়ি উপজেলার রাঢ়ীপাড়া গ্রামে হলেও নিহত মজিদ কালীগঞ্জ শহরের দক্ষিণ আড়পাড়ায় বসবাস করতেন। জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধে আমার ভাই আব্দুল মজিদকে খুন করা হয়েছিল বলে আমাদের ধারনা।
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের ছোট ভাই মো. আব্দুল আলিম বাদি হয়ে জেলা বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আমলী আদালতে মামমলাটি করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলার রাঢীপাড়া গ্রামের মোঃ সাজ্জাদ আলী বিশ্বাস ও মোঃ সুমন এবং কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন শিবনগর গ্রামের মিজানুর রহমান।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, ১ ও ২নং আসামী কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়ায় তিন তলা বিশিষ্ট পাকা বাড়ি রয়েছে। উক্ত বাড়িতে বাদীর বড় ভাই মৃত আব্দুল মজিদ নিচের ফ্লাটের পশ্চিমের পার্শ্বে ভাড়া নিয়া বসবাস করতেন এবং কালীগঞ্জ বাজাবে ঔষধের ব্যবসা করতেন। ঘটনার কয়েকদিন আগে বাদীর বড় ভাই আসামীদের নিকট তাদের পাওনা সম্পত্তি দাবী করে। আসামি সাজ্জাদ আলী বিশ্বাস ও মোঃ সুমন জমি বুঝে না দিয়ে ভয় ভীতি ও হমকি দিতে শুরু করে।
ঘটনার দিন ৫.০৩.২০১৭ বাদীর বড় ভাই নিহত আব্দুল মজিদ কালীগঞ্জ বাজার থেকে প্রতিদিনের মত কাজ সেরে দুপুরে খাওয়ার জন্য বাসায় আসে। এরপর তার আর খোজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন সন্ধ্যয় বড় ভাইকে খোঁজ করতে আসামীদের বাড়ি গিয়ে দেখতে পান আব্দুল মাজিদ পশ্চিমের রুমে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়।