সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার যশোর মণিরামপুরের বিএনপি পরিবারের সন্তান আসাদুজ্জামান সোহাগ চক্রান্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যমুলক অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকা মালিবাগ সিআইডিতে কর্মরত রয়েছেন। এই কর্মকর্তা দির্ঘদিন বাগেরহাটে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার একটি বক্তব্য এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি চক্র। এমনকি তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে প্রচার করা হচ্ছে নানা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তথ্য অনুসন্ধানে প্রকাশ, বাগেরহাটে দায়িত্ব পালনকালে গত ৪আগষ্ট গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করার সময় হামলার শিকার হন কয়েকজন। হামলাকারী আওয়ামীলীগ কর্মীরা এদের মধ্যে একজনের মোবাইল ভেঙ্গে দেয়। এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা ওই সড়ক দিয়ে গাড়ী করে যাওয়া আসাদুজ্জামানকে থামিয়ে হামলার বর্ণনা দেন। পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান তখন তাদের শান্ত করেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যারা লাঠি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করেছে তারা দুষ্কৃতকারী।
যার আসল ভিডিও সহ সকল প্রমান রয়েছে। যা ওই সময়ে উপস্থিত সকল সাংবাদিক অবগত। কিন্তু হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে নীল নকশা অনুযায়ি উক্ত বক্তব্য এডিট করে একটি অংশ ফেলে দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। যাতে বোঝানো হয়েছে তিনি ছাত্রদের দুষ্কৃতকারী বলেছেন। যা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ভিডিওতে বলা হয়েছে আসাদুজ্জামানের পৈত্রিক বাড়িতে বিলাসবহুল অট্রালিকা রয়েছে। অথচ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যশোরের মণিরামপুরে তার পৈত্রিক সম্পত্তিতে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একটি অতি সাধারণ ঘর রয়েছে। যেটির মালিক তারা তিন ভাইবোন। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, ঢাকায় তিনি চারটি ফ্ল্যাটের মালিক। অথচ ঢাকায় কোথাও তার কোন ফ্ল্যাট নেই বলে তিনি জানান। ভিডিওতে আরো বলা হয়েছে, আসাদুজ্জামান আওয়ামীলীগ নেতা শেখ তন্ময়ের বাল্যবন্ধু, যে কারণে তাকে বাগেরহাটে বদলি করা হয়। এ দাবির কোন সত্যতা মেলেনি। আসাদুজ্জামান কখনই শেখ তন্ময়ের বন্ধু ছিলেন না। তিনি যশোর এম এম কলেজ থেকে ইংলিশে মাস্টার্স করার পর যশোর জেলা স্কুলে ইংরেজি শিক্ষকতা করেন।
পরে পুলিশে যোগদান করেন। তার পরিবারের লোকজন বিএনপির রাজনীতি করেন এমন অজুহাতে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তাকে বিভিন্ন দূরবর্তী নন-অপারেশনাল ইউনিটে বদলি করা হয়। এ ব্যপারে ভূক্তভোগী অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান সোহাগ বলেন, ইতোপূর্বে আগষ্ট মাসের শেষের দিকে আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে অপপ্রচার মূলক একটি ভিডিও পোষ্ট নজরে আসলে সে বিষয়ে বাগেরহাট সদর থানায় একটি জিডি করি।
এ ঘটনায় দুইজন পুলিশ সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় যথাযত কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানাই। সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিওটি পূর্ববর্তী ভিডিওর অনুরুপ এবং হয়রানির অভিন্ন উদ্দেশ্যে তৈরী ও প্রচারিত। সর্বশেষ প্রকাশিত ভিডিও সংক্রান্তে মোহাম্মাদপুর থানায় তিনি জিডি করেছেন। তবে এসব ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত ঘটনায় অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।