যশোর শিক্ষাবোর্ডের ২৩ নীতিমালা প্রকাশ

jessore education board

আগামী ১০ এপ্রিলে এসএসসি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ২৩টি নীতিমালা প্রকাশ করেছে যশোর শিক্ষাবোর্ড।বোর্ডের ওয়েবসাইডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড.আব্দুল মতিন সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে,নতুন এই নীতিমালা গুলো হচ্ছে,রেজিস্ট্রেশন,পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের যোগ্যতা,পরীক্ষা পরিচালনার নিয়মাবলি কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কর্তব্য কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব ,কেন্দ্র সচিবদের প্রতি কিছু জরুরি নির্দেশনা, পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সিলেবাস,সহকারী কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব, হল সুপারের দায়িত্ব ,সৃজনশীল উত্তরপত্রের বান্ডেল প্রস্তুতকরণ ও বোর্ডে প্রেরণ,সৃজনশীল উত্তরপত্রের কবার পৃষ্ঠার ছেঁড়া অংশ ও বহুনির্বাচনি উত্তরপত্রের শিরোনামপত্র প্রস্তুকরণ ও প্রেরণের নিয়মাবলি,ব্যবহারিক পরীক্ষা,উদ্বৃত্ত মালামালের হিসাব,কক্ষ প্রত্যবেক্ষকের করণীয়,শৃঙ্খলা সম্পর্কীয় নিয়মাবলি,বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র প্রেরণ, শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিবরণ,উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণ, রেকর্ডপত্র সংরক্ষণ,১৯৮০ সনের ৪২ নম্বর আইন,গ্রেডিং পদ্ধতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ও পরীক্ষার সময় বিভাজন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড.আব্দুল মতিন জানান, নীতিমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের পূর্বশর্তসমূহ নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বোর্ডের অনুমোদিত বিদ্যালয় থেকে দশম শ্রেণিতে শিক্ষাক্রম সমাপ্তির পর এ বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় নিজ নিজ বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আন্তঃবোর্ডের বদলিকৃত ছাত্র ও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এ বোর্ডের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তির পর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

বোর্ডের কেবলমাত্র বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই পরীক্ষার আবেদন ফরম অলাইনে পূরণ করতে পারবে।

বোর্ডের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছাত্রছাত্রীকে অবশ্যই পরীক্ষার আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ফরম পূরণ করা অপরিহার্য। পরীক্ষার আবেদন ফরম ও রেজিস্ট্রেশন এর তথ্যাদিতে অবশ্যই মিল থাকতে হবে। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের কোন তথ্যে গরমিল থাকলে এবং উক্ত গরমিলের কারণে যদি কোন পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করা না যায় তবে এর জন্য সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানই দায়ী থাকবেন।

বোর্ডের বিধিমোতাবেক যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে তার রেজিস্ট্রেশনকৃত ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে বিধায় রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ এবং বয়স থাকলে অকৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীকে অথবা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি এরকম ছাত্র-ছাত্রী সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এ সুযোগ তাদেরকে দিতে হবে। কোন ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষার আবেদন ফরম জমা বা পরীক্ষা চলাকালীন সময় কিংবা পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ফল প্রকাশিত হওয়ার পর যে কোনো সময়ে রেজিস্ট্রেশন ভুয়া প্রমাণিত হলে তার পরীক্ষা কিংবা পরীক্ষার ফল বাতিল বলে গণ্য হবে।

এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা বছরের ১ জানুয়ারি পরীক্ষার্থীর বয়স ন্যূনতম ১৪ বছর হতে হবে। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর বেলায় সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০ বছর এবং অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর বেলায় রেজিস্ট্রেশন এর মেয়াদ থাকা পর্যন্ত বয়স শিথিলযোগ্য।

পরীক্ষা অবশ্যই বোর্ডের ঘোষিত সময়সূচি ও কার্যক্রম অনুযায়ী নির্ধারিত কেন্দ্রসমূহে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার্থীকে প্রবেশপত্রে উল্লিখিত কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার জন্য অনুমোদিত প্রত্যেক কেন্দ্রে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য কেন্দ্র কমিটি নামে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে হবে। কমিটিতে থাকবে চেয়ারম্যান অথবা সভাপতি । জেলা সদরের জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা ও অন্যান্য স্থানের কেন্দ্রের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য থাকবে জেলা শিক্ষা অফিসার জেলা সদরের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ,থানা শিক্ষা কর্মকর্তা। বোর্ডের অনুমোদিত পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান প্রধান কেন্দ্র সচিব হবেন।কোন কারণে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান কেন্দ্র সচিব হতে না পারলে কেন্দ্র কমিটির চেয়ারম্যান এর অনুমোদনক্রমে কেন্দ্রের আওতাধীন অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মধ্য থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে কোন শিক্ষক অথবা কোন কর্মকর্তার ছেলে বা মেয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কোন কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে তিনি কেন্দ্র সচিব হতে পারবেন না।