পাকিস্তানের কাছে হারের পর বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা অনিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। যদিও ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল, যদি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যে জিততে না পারলে তাহলে ভাগ্য চমকাবে বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত সে সমীকরণে চড়েই দ্বিতীয়বারের মতো নারী বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা।
বাংলাদেশের চেয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় থাইল্যান্ডকে শুধু হারালেই চলত না ক্যারিবিয়ানদের, সে কাজটি সারতে হতো নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যে। এক্ষেত্রে থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্য ১০ ওভারের মধ্যে ছুঁতে হতো উইন্ডিজের মেয়েদের। কিন্তু সে লক্ষ্যে পৌঁছাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাঁচ বল বেশি খরচ করেছে। আর তাতেই অল্পের জন্য বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে ক্যারিবিয়ানদের, আর কপাল খুলেছে বাংলাদেশের।
আজ পাকিস্তানের কাছে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে হারার পর ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশের নেট রান রেট দাঁড়ায় +০.৬৩৯। অন্যদিকে, থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের নেট রান রেট ছিল -০.২৮৩। থাইল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য ২৩৫ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলায় তাদের পয়েন্ট বাংলাদেশের সমান ৬ হলেও নেট রান রেটে তারা পিছিয়েই থাকে (+০.৬২৬)।
এর আগে বাছাইপর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের মূল পর্বের পথে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই হারে সে পথ বন্ধুর হয়ে যায়। অবশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমীকরণ মেলাতে না পারায় বিশ্বকাপের টিকিট পেলেন জ্যোতি-ফাহিমারা।
এবারের নারী বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়তে মাঠে নামবে বিশ্বকাপের মূল পড়বে খেলার সুযোগ পাওয়া আট দল। এই আট দল হচ্ছে- ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।