মহাকাশ প্রতিযোগিতায় বিশ্বসেরা ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটি (এনএসএস) আয়োজিত ‘লিভিং ইন এ হেলদি স্পেস’ বৈশ্বিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় নবম গ্রেড (বড় দল) ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সেনাবাহিনী পরিচালিত ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ।
এ সাফল্যের মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ আন্তর্জাতিক পরিসরে নিজেদের মেধার বিষয়টি তুলে ধরতে সক্ষম হলো। বুধবার ৩০ এপ্রিল আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উদ্ভাবনী প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তা, সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মহাকাশে টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপর দৃষ্টিনন্দন ও বাস্তবভিত্তিক সমাধান উপস্থাপন করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জমা পড়া শত শত প্রকল্পের মধ্যে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের উদ্ভাবনী প্রকল্পটি নির্বাচিত হয়।
এই গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের পেছনে ক্যাডেট আরিয়ান হোসেন সাহির, ক্যাডেট ইফতেখার মাহমুদ আসিফ, ক্যাডেট রাফান মাশরুর হক, ক্যাডেট তাশরিফ হাসান, ক্যাডেট এস কে আহনাফ হক এবং ক্যাডেট জিসান মাহমুদের ভুমিকা রয়েছে। তারা গত এক বছর ধরে প্রকল্পটিতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। তাদের সৃজনশীলতা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তাশক্তি আজ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত, যা জাতির জন্য এক অনন্য গৌরব।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কলেজের প্রাক্তন ক্যাডেটদের সংগঠন জেক্সকা’র পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠিত রোবটিক্স ল্যাব অটোমেটোস ২৭-এর অবদান উল্লেখযোগ্য। এই ল্যাব থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে ক্যাডেটরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
আইএসপিআর আরও জানায়, প্রতিযোগিতায়  ১১টি দেশের ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠানের ৯ হাজার ২৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। ৭টি মূল বিভাগ ও ২১টি উপবিভাগে বিভক্ত এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভবিষ্যৎ মহাকাশ জীবনে মানবকল্যাণ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী সমাধান উপস্থাপন করা।
এই অসাধারণ সাফল্য বাংলাদেশের তরুণদের মেধা, সম্ভাবনা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতার প্রমাণ। ভবিষ্যতের বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক ও মহাকাশ গবেষকদের জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস বলে উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।