নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণে আইন সংশোধনের অনুমোদন

জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এ সীমানা নির্ধারণ নিজেদের ইচ্ছামতো করা হতো। এগুলো নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে। এখন আমাদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে একটা ব্যাখ্যাগত ভুলের কারণে এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারছিল না। নির্বাচন কমিশন এ আইন প্রস্তাব করেছে। এখন আমরা এই সংশোধনী করে দিয়েছি। এখন সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের যে সাংবিধানিক দায়িত্ব আছে, সেটা তারা ইচ্ছা করলে এ অধ্যাদেশ গেজেট নোটিফিকেশন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা শুরু করতে পারবে, দুই চার দিনের মধ্যে।

এখন আমাদের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত যে আইন আছে, সেখানে একটা ব্যাখ্যাগত ভুলের কারণে এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করতে পারছিল না। নির্বাচন কমিশন এ আইন প্রস্তাব করেছে। এখন আমরা এই সংশোধনী করে দিয়েছি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

এছাড়া উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোড অব সিভিল প্রসিডিওর (সিপিসি) সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশে সিভিল মামলা নিষ্পত্তি হতে বছরের পর বছর, এমনকি যুগের পর যুগ লাগে। এখানে আমরা অনেক পরিবর্তন এনেছি। এর মধ্যে আগে ইচ্ছামতো শুনানি মুলতবি করা যেত। এখন আর তা করা যাবে না। আদালতে আইনজীবীর লিখিত আর্জি পড়ে শোনানোর ঘটনা বছরের পর বছর চলত। এখন আইনে সংশোধনীর মধ্যে বলা হয়েছে—আদালতে যে লিখিত স্টেটমেন্ট দেবে সেটাই চূড়ান্ত। সেটা মৌখিকভাবে উপস্থাপন করা লাগবে না। আরেকটা হচ্ছে—মামলার রায়ের পর তা কার্যকর করতে আলাদাভাবে আবার মামলা করা লাগতো। সেটাও এখন করতে হবে না। আমরা আশা করি, সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এই আইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এর আগে আইনটির ৪, ৬ ও ৮ ধারায় অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সংশোধনী আইনের একটি খসড়াও পাঠানো হয়। পরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি খসড়াটি পর্যালোচনা করে।