ফুটপাত দখলে বেনাপোল বাজারের বেহালদশা

বেনাপোল স্থল বন্দর একটি গুরুত্বপুর্ণ শহর। এ পথে প্রতিদিন দেশী বিদেশী পর্যটক সহ বিভিন্ন ব্যবসায়িরা এখানে এসে থাকে। এছাড়া এই শহরটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপুর্ণ ভারতের প্রবেশদ্বার। রাষ্টের প্রধান ফটক হওযায় তাই এই শহরকে জুড়ে রয়েছে দেশের মান মর্যদা ও সন্মান। সেই শহরটির ফুটপাত দিয়ে বসে সকাল সন্ধ্যা বিভিন্ন দোকানের পশরা। আর যশোর – কোলকাতা মহাসড়কের বেনাপোলে বাজারে ফুটপাতের ওই দোকানের জন্য রাস্তার অর্ধেকের বেশী জুড়ে থাকে বেশীর ভাগ ভ্যান রিক্স্রা মোটর সাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন। আর ব্যাস্ততম এই সড়কে দেখা যায় ছোট খাট দুর্ঘটনা।

বেনাপোল শহরে দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসে পরিবহন। এবং ভারতের সাথে আমদানি রফতানি বানিজ্য থাকায় প্রতিদিন এ পথে ৫ থেকে ৬ শত ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন শহরে যাতায়াত করে। সব মিলে বেনাপোল বাজারের ফুটপাতে দোকান বসাতে যানজটের সৃষ্টি হয়। আর সে সময় ছোট খাট দুর্ঘটনা ও ঘটে থাকে।

বেনাপোল বাজারের ব্যবসায়ি সামাদ মিয়া জানান, ফুটপাতে দোকানপাট বসাতে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়ে সহ পথচারীদের নানা অসুবিধায় পড়তে হয়। এখানে গাড়ি গুলো এসে যানজটে বেধে দীর্ঘ সময়ক্ষেপন করায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা গুরুত্বপুর্ণ এই শহরের বেহাল অবস্থা দেখে নানা ধরনের মন্তব্য করে।

বেনাপোল এর নামাজ গ্রামের মশিয়ার রহমান বলেন, বাজারটি বেনাপোল পৌরসভা প্রতিবছর ইজারা দিয়ে থাকে। আর ওই ইজারাদাররা অধিক পয়সা উপার্জন এর জন্য বাজারের ফুটপাতে দোকান পাট বসার অনুমতি দিয়েছে। এখানে কাঁচা বাজার, ফল সহ নানা ধরনের দোকানপাট সারাদিন থাকে। যার ফলে এখানে প্রায় দুর্ঘটনা দেখা দেয়।

জি এম আশরাফ বলেন, বর্তমানে নির্বাচিত মেয়র এবং তার কাউন্সিলররা না থাকায় ইচ্ছা খেয়াল খুশীমত বাজার ব্যবস্থা চলছে। গুরুত্বপুর্ণ এই শহরটির একমাত্র বাজার এখন বেহাল দশা। আমরা এর প্রতিকার চাই। দুর থেকে আসা এবং কৃষকের নানা ধরনের পণ্য ও বাজারে প্রবেশের কোন পথ নেই। রাস্তায় দাড়িয়ে সেগুলো নামিয়ে নিতে হয়।

বিষয়টি গত ১৩/০৫/২০২৫ ইং তারিখে শার্শা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বস্থ করেন।