যশোর শহরের বারান্দিপাড়া মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজনীন নাহার (তিশা) মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে এক সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতারক যুবক নাহিদ হাসান বাঁধন ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতারণার শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, যুবক নাহিদ হাসান বাঁধন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখে তার সাথে প্রতারণা করেছে। তাছাড়া তার পরিবারের সদস্যরা আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে যে মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরেছেন তার সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন।তারা প্রেসক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ভিত্তিহীন গল্প কাহিনী তৈরি করে সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানান। ও মানহানির অভিযোগ তোলেন।
নাজনীন নাহার তার বক্তব্যে জানান, ১৬ বছর বয়সে (২০২২ সালে) স্কুলে পড়াকালীন নাহিদ হাসান বাঁধন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকে এবং একপর্যায়ে জোর করে চুম্বনের ছবি তুলে তা ফেসবুতে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে। পরবর্তীতে তাকে জেস গার্ডেন পার্ক সংলগ্ন একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায় শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। বাঁধন তাকে বিবাহের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে বিভিন্ন স্থানে স্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দিতে থাকে।
নাজনীন দাবি করেন, পরে জানতে পারেন বাঁধন ইতিমধ্যে চারটি বিবাহ করেছেন। বিষয়টি পরিবারকে জানালে দুই পক্ষের মধ্যে শালিশি সভা হয়, কিন্তু বাঁধনের পরিবার ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি করে বিবাহে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় নাজনীনকে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। গত ১০ মে তিনি যশোর কোতয়ালী থানায় বাঁধনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
প্রতিক্রিয়া ও হুমকির অভিযোগ
নাজনীন অভিযোগ করেন, বাঁধনের বোনের স্বামী বাদল মাহমুদ (খালধার রোড) তাকে মামলা প্রত্যাহার ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছেন। এছাড়া, গত ১৩ মে বাঁধনের পরিবার প্রেসক্লাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার চরিত্র হননের চেষ্টা করেছে। তিনি সাংবাদিকদের কাছে তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে বলেন”আমার বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ন্যায়বিচার চাই।”
নাজনীনের পরিবার জানায়,ধর্ষন মামলার পাশাপাশি মানহানি ও হুমকির বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।