যশোরে বিদেশে পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎ ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ

জামাই মেহেদীকে বিদেশে না পাঠিয়ে ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দ্যেশে মাসুরা বেগম হাসি তার বেয়াই সিরাজুল ইসলাম কুটিকে পরিকল্পিতি ভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডকে ভিন্ন খাতে নিতে হাসি ও তার স্বজনেরা মিথ্যা তথ্য রটনা করেছে।

বুধবার প্রেসক্লাব যশোরের শহিদ সাংবাদিক আরএম সাইফুল আলম মুকুল অডিটোরিয়ানে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন নিহত কুটির ভাই মফিজুল ইসলাম ইমন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইমন জানিয়েছেন, আমার বড় ভাই সিরাজুল ইসলাম কুটির ছেলে মেহেদী হাসানকে বিয়ে দেয়া হয় মাসুরা বেগম হাসির মেয়ে চৈতির সাথে। মাসুরা বেগম হাসির দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে লোক পাঠিয়ে আসছেন। সেই সূত্রে হাসি তার জামাই মেহেদী হাসানকে বিদেশে পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে ২০২৪ সালের ৭ জুলাই ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ১২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরে হাসিকে আরও ৩ লক্ষ টাকা ও পাসপোর্ট দেয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে হাসি তার জামাইকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ হয়ে। চলতি বছরের ২৯ মার্চ সকালে আমি ও আমার ভাই কুটি ছেলের শ্বশুর বাড়ি বাহাদুরপুরের বাড়িতে যায়।

তিনি বলেন, মেহেদীকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে হাসি ও তার সহযোগীরা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাসির তার ছোট মেয়ে মনিকা খাতুন আমার ভাইয়ের অন্ডকোষ চেপে ধরলে মাটিটে পড়ে যায়। এ সময় আমি তাকে উদ্ধার করতে গেলে তার অপর সহযোগীরা আমাকে মারপিট করে ঘরের একটি রুমে আটকে রাখে। এরমধ্যে হাসি আমার ভাইয়ের দুই চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভাইকে উদ্ধার করে যশোর পরে ঢাকায় নিয়ে ভর্তিকরা হলে এদিন সন্ধায় মারা যায়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় হাসিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। আসামিরা মামলা তুলে নিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। এ হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত আটক ও বিচারের মাধ্যমে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিহত সিরাজুল ইসলাম কুটির স্বজন শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, শামিমুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, নুর নবী হাসান সাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।