যশোরে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। একই সাথে ওই দুই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার আটক দুই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ১৯ মে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া বাজার থেকে আষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় তার মা কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফেসবুকের মাধ্যমে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ধনেশ্বর গ্রামের দুলাল রহমানের ছেলে আরিয়ান মুন্সি (২২) নামে এক যুবকের সাথে পরিচয় হয়। ওই যুবক বিভিন্ন প্রলোভনে তাকে অপহরণ করেছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় তাদের অবস্থান সনাক্ত করা হয়।
কোতয়ালি থানার এসআই তানিম ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ধনেশ্বর গ্রামে অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর ওই গ্রামের দুলাল রহমানের ছেলে আরিয়ান মুন্সীকে আটক করা হয়। এক পর্যায় আরিয়ান মুন্সীর বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলার পর শুক্রবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক ওই ছাত্রীকে পরিবারের জিম্মায় প্রদান করেন একই সাথে আরিয়ানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এছাড়া, গত ২০ মে বিকেল ৩ টার দিকে যশোর সদর উপজেলার কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সামনে থেকে ওই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে (১৭) অপহরণ করা হয়। দাবি করা হয় একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা ফিরোজ হোসেন (১৯) নামে এক যুবক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছে ওই ছাত্রীকে। ফিরোজ সদর উপজেলার মথুরাপুরে গ্রামের আলেক হোসেনের ছেলে। এ অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা কোতয়ালি থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের অভিযান চালান কোতয়ালি থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম। সেখান থেকে আলেক গাজীর ছেলে ফিরোজ হোসেনকে আটক করেন তিনি। একই বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে ওই দুইজনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক ওই ছাত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দেন। এবং আসামি ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।