ঝিনাইদহে মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে খাস জমি দখলের পায়তারা

jomiবসির আহাম্মেদ, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাথান বাজারে মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারি খাস জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। সংখ্যালঘুর দোহায় দিয়ে একটি মহল সরকারি ১ খতিয়ানের জমি ট্রাক্টর দিয়ে চষে নিয়েছে। যা আইন লঙ্ঘনের শামিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাথান বাজারের পাশে সরকারি ১ নম্বর খতিয়ানের অন্তভূর্ক্ত ৭৬ শতক জমি সরকারের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এছাড়াও জমিটি সরকারের নামে খতিয়ানভুক্ত রয়েছে। কিন্তু ওই ৭৬ শতক জমি দখলের পায়তারা শুরু করেছে পার্শবর্তী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের সভাপতি অশোক ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ ও ইন্দ্র ঘোষ। মন্দিরের দোহায় দিয়ে ওই তিন জন মন্দিরের জমি দখল করার পায়তারা করছে।

সম্প্রতি ওই খাস জমিতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গরুর হাট বসানোর জন্য এলাকাং মাইকিং শুরু করা হলে মন্দিরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ধর্ণা দিচ্ছে। এছাড়াও জমির সামনে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের নাম ভাঙ্গিয়ে ১০ টি দোকান নির্মান করেছে। যার প্রতিটি দোকান থেকে ২ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে নিজেরা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মাইকিং করার পর তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা ভাবে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। তারা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের কথা বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, সরকারি খাস জমিতে উপজেলা প্রশাসন হাট বসাচ্ছে। পুর্বের ভেঙ্গে যাওয়া গরুর হাট পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নিলে ইন্দ্র ঘোষ, স্বপন ঘোষ ও অশোক ঘোষ স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়কে ভূল বুঝিয়ে হাট বসাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়াও ওই জমির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সিন্ধান্ত নিবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জমির ব্যাপারে কিছু করার নেই। প্রভাবশালীদের ইন্ধনে শুক্রবার সকালে তারা সরকারি ওই খাস জমি ট্রাক্টর দিয়ে চষে দিয়েছেন।

কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম বলেন, যে ৭৬ শতক জমি মন্দিরের বলে দাবি করা হচ্ছে তা মুলত সরকারি হাট পেরিফেরি ভুক্ত জমি। সরকারি এক ও একের এক খতিয়ান ভুক্ত। এ জমিতে মামলা চলছে। তারপরও মন্দির কর্তৃপক্ষ জমি জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে।

অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জমিটি রক্ষনা-বেক্ষন করে আসছি। জমিটি আমাদের বলে আমরা চষে নিয়েছি। মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলায় যার পক্ষে রায় হবে আমরা তাই মেনে নিব।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম বলেন, সরকারি খাস জমিতে গরুর হাট বসানোর জন্য মাইকিং করা হয়েছে। সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য মন্দিরের পাশের জমিতে হাট বসানো হবে। মন্দিরের জমির সাথে এই জমির কোন সম্পর্ক নেই। এটি সরকারি হাটপেরিফেরি ভুক্ত জমি। অবৈধ ভাবে কেউ যদি জমি দখল করে নেয় তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।