স্পোর্টস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ে বাদে অন্য কোনো টেস্ট দলের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো জয় ছিল না স্কটল্যান্ডের। রোববার তাদের সাফল্য তালিকায় যোগ হল ইংল্যান্ডের নাম।নিজেদের মাঠ এডিনবরায় ইংল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে স্কটল্যান্ড। স্কটিশরা গড়েছে নতুন ইতিহাস। তাদের ক্রিকেট ইতিহাসে এর থেকে বড় কোনো সাফল্য নেই। তাইতো ঘরের মাঠে উৎসব ছিল দেখার মতো। এডিনবরায় ম্যাচ চলাকালিন পুরোটা সময় উল্লাসে কাটিয়েছে স্কটিশরা। ম্যাচ জয়ের পর মাঠে নেমে আসেন তারা। প্রিয় দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন ইংল্যান্ড বধের সাফল্য।
স্কটল্যান্ডকে হারাতে শেষ ১২ বলে ১১ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। আর স্কটল্যান্ডের মাত্র ২ উইকেট। জয়ের পাল্লা ভারী ছিল ইংল্যান্ডের। কারণ সেট ব্যাটসম্যান লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট তখন ছিলেন ক্রিজে। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দেন সাফইয়ান শরিফ। প্রথম বলে রান আউটে কাটা পড়েন আদিল রশিদ। পঞ্চম বলে শরিফের ইয়র্কারে এলবিডব্লিউ মার্ক উড। তাতেই ইতিহাস। ৬ রানের জয়ে উল্লাসে মেতে উঠে পুরো এডিনবরা।
স্কটল্যান্ডকে জয়ের ভিত গড়ে দেন ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া ক্যালাম ম্যাকলিওড। তিনে নেমে ৯৪ বলে ১৪০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ম্যাকলিওড। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬ চার ও ৩ ছক্কায়। স্কটল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন ২৯ বছর বয়সি ম্যাকলিওড। আর তার সেঞ্চুরিতে স্কটল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৭১ রান।
জবাবে জনি বেয়ারস্টোর বিস্ফোরক ইনিংসে কঠিন টার্গেট সহজ করে তুলে ইংল্যান্ড। ডানহাতি উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ১২ চার ও ৬ ছক্কায় খেলেন ৫৯ বলে ১০৫ রানের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা তিন ম্যাচে তিন সেঞ্চুরির কীর্তিও গড়েছেন বেয়ারস্টো। কিন্তু তাকে ১০৫ রানে ফিরতে হয় বেরিংটনের বলে আউট হয়ে।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড। তবুও রানের চাকা থামেনি তাদের। অ্যালেক্স হেলসের ৫২, মঈন আলীর ৪৬, লিয়াম প্লাঙ্কেটের অপরাজিত ৪৭ রানে জয়ের পথেই ছিল তারা। কিন্তু স্কটল্যান্ডের ইতিহাস গড়ার দিনে শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি ইংল্যান্ড। বিশাল লক্ষ্যের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমেও তারা তোলে ৩৬৫ রান।
প্রায় সাড়ে সাতশ রানের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। তাইতো দিন শেষে উৎসবটাও করেছে তারা।