যশোরে ইজিবাইক বন্ধে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

jessore newsস্টাফ রিপোর্টার: অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকসা চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় যানজটমুক্ত ছিল যশোর শহর। তবে বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা চালু না করে যশোর শহরে ইজিবাইক ও আটোরিকশা বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছেন স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ।

জননিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানজটরোধে যশোর শহরে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকসা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শহরে মাইকিং করে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যশোর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ। শুক্রবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে।

যশোর শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক চলাচল করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শহরের দড়াটানা, হাসপাতাল মোড়, জজকোর্ট মোড়, এমএম আলী সড়ক, গাড়ীখানা, চিত্রা মোড়, চৌরাস্তা, মনিহার এলাকা, পালবাড়ি মোড়, খাজুরা বাসস্ট্যান্ড, চাঁচড়া মোড়, পুলেরহাট থেকে শহরে যান ইকিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা। কিন্তু প্রশাসন তা বন্ধ করে দেয়ার মানুষ চরম বিপাকে পড়ে। এ দিন শহর ছিল ফাঁকা। কিছু রিকশা চললেও চালকেরা ভাড়া হেঁকেছে তিন থেকে চার গুন বেশি। এতে পথ চলতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

শহর ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই যশোর শহর একপ্রকার যানবাহন শূন্য ছিল। ইজিবাইক ও ব্যাটিারিচালিত রিকসাবিহীন ছিল শহর। ছুটির দিন হওয়ায় স্কুল কলেজ অফিসগামী মানুষের উপস্থিতি কম ছিল শহরে। তবে বাজার করতে বের হওয়া, রোগী হাসপাতাল ক্লিনিক ও দূরপথে রওনার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়া মানুষজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। চাঁচড়া থেকে দড়াটানায় রিকসায় এসেছেন ৫০ টাকা দিয়ে দিদার উদ্দিন। তিনি জানান, ইজিবাইকে প্রতিদিন আসি ১০ টাকায়। আজ আসতে হলো ৪০ টাকা বেশি দিয়ে।

এছাড়া শহরের বিভিন্ন মানুষজনের কাছে ইজিবাইক ও ব্যাটারির রিকসা বন্ধের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ইজিবাইক ও ব্যাটারির রিকসা শহরের চলাচলের যানবাহনে পরিণত হয়েছে। কিন্ত হঠাৎ করে এগুলো বন্ধ করে দেয়ায় যানবাহনের সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন শহরের মানুষজন।

একজন শিক্ষক বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় শহরের মানুষের চাপ কম ছিল। কাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। রোববার থেকে অফিস আদালত খুলবে। তখন অফিস আদালতগামী মানুষজন চরম যানবাহন সংকটের আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন সিকদার জানান, যশোর শহরে প্রচুরসংখ্যক অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকসা চলাচল করে। এজন্য মানুষের স্বাভাবিক চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শহরে লেগে থাকছে যানজট।

এছাড়া পরিস্থিতি মাঝে মধ্যে নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে হাজির হচ্ছে। এজন্য যশোর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ যৌথভাবে শহরে এসব অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকসা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। শুক্রবার থেকে শহরে কোন ধরণের ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকসা চলাচল করবে না।

এর আগে যশোর পৌরসভা থেকে শহরে যানজট নিরোসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যার অংশ হিসেবে শহরের ইজিবাইকের সংখ্যা সীমিত করতে পৌরসভা থেকে লাইসেন্স দেওয়া হয়। পরে শহরে লাইসেন্সহীন ইজিবাইক চলাচল বন্ধের জন্য মাইকিং করা হয়। সর্বশেষ প্রয়োজনের অতিরিক্ত ইজিবাইক শহর থেকে তুলে দিয়ে যশোর পৌরসভা থেকে ইজিবাইক মালিকদের দেওয়া হয় ডিজিটাল আইডি কার্ড।