বিনোদন ডেস্ক : প্রথমে ছিল মাস্ক। নাম পরিবর্তন হয়ে ছবির নাম হয়েছে ‘নাকাব’। শাকিব খান ও কলকাতার দুই নায়িকা নুসরাত ও সায়ন্তিকা অভিনয় করছেন এতে।
ছবিটির নিয়ে যেন শাকিব ভক্তদের প্রত্যাশা আর আগ্রহের শেষ নেই।
বিশেষ করে কয়েকদিন ধরে অনলাইনে হইচই শোরগোল দেখা গেল এসভিএফ প্রযোজিত ‘নাকাব’ নিয়ে।
কারণ ছবিটির গান প্রকাশ হবে। সেই গান কলকাতার সঙ্গীত বাংলায় দেখাবে। এতেই যেন মাত্রাতিরিক্ত গদগদ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আসছিল দর্শক।
এর পিছনে একটা কারণও ছিল। অনেক দিন পর ফ্রেশ লুকের হারিয়ে খোঁজা শাকিবকে নতুন করে দেখতেই ভক্তদের এ উৎসাহ।
অবশেষে চ্যানেল প্রকাশের পর গানটি এলো ইউটিউবে। কিন্তু দর্শক ভক্তদের আশা এতে কতটা পূরণ হলো?
গানটির লেখক প্রসেন, সুরকার দেব সেন, গেয়েছেন আরমান মালিক ও পারশমিতা পাল। শুনতে আহামরি লাগেনি।
এসভিএফ এর আট দশটা এভারেজ রোমান্টিক গানের মতই লেগেছে।
গানের দৃশ্যায়ন বর্তমানে শাকিব খানের ঢালিউড টলিউড মিলিয়ে যে কোন গানের থেকে বাজে লেগেছে।
ব্যাংককের পাতায়ার বীচ, প্যালেস এসব জায়গায় কমপক্ষে ৫০ এর অধিক শাকিব খানের গানের চিত্রায়ণ দেখেছি।
গানে শাকিব-নুসরাতের রসায়নটাও টোটালি বোগাস লেগেছে। শ্রাবন্তী কিংবা শুভশ্রীর সঙ্গে শাকিব শতগুণ ভালো।
নুসরাতের কোন এক্সপ্রেশনই পাওয়া যায়নি। ড্রেসআপ কস্টিউম খুবই সস্তা মনে হয়েছে।
সবচেয়ে বড় হতাশার জায়গা শাকিব খান। মেদবহুল চর্বিযুক্ত শরীর আর তেলতেলে গালের শাকিবকে দেখতে খুবই দৃষ্টিকটু লেগেছে।
কমার্শিয়াল মুভির হিরোর এত বড় ভুড়ি মেনে নেয়া কষ্টকর।
কোনভাবেই গানটি পাসমার্ক পাবে না। এ গানের দেখার পর অনেক শাকিব ভক্তই বলেছেন ফ্রেশলুকের শাকিবকে পর্দায় আর দেখতে চাই না।
এই গান সঙ্গীত বাংলায় দেখানো হবে প্রচুর। সেক্ষেত্রে ভুড়িকেন্দ্রিক দুর্বল ফিটনেস ও অনায়োকোচিত লুক সমালোচনা এক ধাপ বাড়াবে বৈকি কমাবে না।
তবে গানটিতে যদি মেদহীন ফিট, খোঁচা দাঁড়ির শাকিব থাকত তাহলে হয়তো আরও ভালো মানাতো।
তবে প্রথম গানটি যেমন হোক ‘নাকাব’ ছবিটি ভালো হবে এমনটাই আশা করছেন ঢাকাই ছবির খান ভক্তরা।