ভ্রমণে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি নারী

ডেস্ক রিপোর্ট: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক বাংলাদেশি নারী।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজেই ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। কলকাতার কাছেই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাত থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ২৩ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারী।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গাজীপুরের জয়দেবপুর এলাকায়। গত ২৩ তারিখ বাংলাদেশ থেকে বৈধ পাসপোর্টে ভারতে আসেন তিনি। হরিদাসপুর (পেট্রাপোল-বেনাপোল) আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে সীমান্ত সংলগ্ন বনগাঁর একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে দুই দিন থাকার পর বুধবার বারাসাতের কাজিপাড়ায় তারই এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ওই আত্মীয়ের বাসায় না উঠে পরিচিত দুই ব্যক্তির সাথে ভুয়া পরিচয় দিয়ে উঠেন সেখানকারই একটি হোটেলে। অভিযোগ ওই হোটেলেই বাংলাদেশি নারীকে ধর্ষণ করা হয়। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশও জানায় ওই সময় ওই দুই ব্যক্তি অভিযোগকারী নারীর সাথে প্রায় ২ ঘণ্টা একই ঘরে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারাসত থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই বাংলাদেশি নারী। অভিযোগ ওই দুই পরিচিত যুবকের মধ্যে রতন মজুমদার নামে এক যুবক গতকাল রাতে ওই নারীর জন্য মোবাইল সিম কিনতে বাইরে গেলে জগন্নাথ নামে অন্য যুবক একা পেয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। অভিযোগে পেয়েই তদন্তে নামে বারাসাত থানার পুলিশ। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত রতনকে আটক করে পুলিশ। যদিও প্রধান অভিযুক্ত জগন্নাথ এখনো পলাতক।

এদিকে ঘটনার সত্যতা খতিয়ে দেখতে অভিযোগকারী বাংলাদেশি নারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ দিন সন্ধ্যায় ওই নারীকে মেডিকেল টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে। অন্যদিকে ফরেনসিক টেস্টের জন্য হোটেলটির ২০৮ নং ঘরটি সিলগালা করে হোটেলের সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।