সহকারী থেকে নায়িকা

দৃশ্যের বাইরে থাকা শিবালিকা ওবেরয় এখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। বহুদিন বলিউড ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। এবার নায়িকারূপে রুপালি পর্দায় হাজির হচ্ছেন এ সুন্দরী। কে হচ্ছেন নায়ক?

গত ৮ আগস্ট সংবাদমাধ্যম মুম্বাই মিরর জানিয়েছিল, প্রয়াত অভিনেতা অমরেশ পুরির নাতি বর্ধন পুরি বলিউডে অভিনেতা হিসেবে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। জয়ন্তীলাল গাদা প্রযোজিত ওই রোমান্টিক-থ্রিলার ছবির নাম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। তবে এ ছবির নায়িকা হিসেবে শিবালিকার টিকেট নিশ্চিত। অর্থাৎ বর্ধনের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন শিবালিকা।

কাজের ক্ষেত্রে শিবালিকা ও বর্ধনের রয়েছে বেশ কিছু মিল। শুধু এক ছবিতে দুজনের অভিষেক হচ্ছে, এটি নয়। দুজনেই বলিউডে বহুদিন ধরে কাজ করছেন, তবে কাজের ধরনে অমিল আছে। তাদের কাজ ছিল পর্দার পেছনে। এবার তাঁরা একসঙ্গে পর্দায় উঠছেন।

শিবালিকা চিত্রনির্মাতা, প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াওয়ালার সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও শ্রীলঙ্কান সুন্দরী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ অভিনীত ‘কিক’ ছবির নেপথ্য নায়িকা ছিলেন তিনি। এ ছাড়া সাজিদ-ফরহাদ সামজির ‘হাউসফুল-৩’ ছবিরও নেপথ্য কারিগর ছিলেন তিনি।

আর বর্ধন পুরি? তিনি তো স্টেজ পরিষ্কারের কাজও করেছেন!

মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকেই বর্ধন পুরি ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ও পরিচালক সত্যদেব দুবের কাছে প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেন।

এর আগে বর্ধন জানিয়েছিলেন, সিনেমায় চিত্রনাট্য লেখা ও পরিচালনা—দুটোই তাঁর পছন্দ। তবে অভিনয়ই প্রথম প্রেম। প্রথম দিকে সত্যদেব দুবে তাঁকে দিয়ে ব্যাক স্টেজে কাজ করাতেন। তিনি সবাইকে চা দিতেন। স্টেজ পরিষ্কার করতেন।

এক সাক্ষাৎকারে শিবালিকা বলেছেন, ‘সবসময় চেয়েছি অভিনেত্রী হতে। এ ছবিতে কাজ করছি নিজের সিদ্ধান্তকে সত্যে পরিণত করতে। হাউসফুল-৩ ছবির পর, আমি অডিশন দেওয়া শুরু করি। একদিন কাস্টিং ডিরেক্টর আমাকে জানান, এই ছবির পরিচালক আমাকে নির্বাচন করেছেন এবং দেখাও করতে বলেন। আমাকে চিত্রনাট্য পড়তে দেওয়া হয়। পড়ে আমি মুগ্ধ হই।’

২৩ বছর বয়সী শিবালিকা আরো বলেন, ‘বর্ধন ও আমি সাত বছর ধরে ফেসবুক বন্ধু। আমরা একই স্কুলে পড়েছি।’

২০০৫ সালে মারা যান জনপ্রিয় অভিনেতা অমরেশ পুরি। এর আগে বর্ধন বলেছিলেন, ‘দাদু অমরেশ পুরি আমার কাছে ছিলেন ভগবানের মতো। রোজ দাদু ও ঠাকুমার কাছে ঘুমাতাম। দাদুর মৃত্যুর পর এমন একজনকে হারালাম, যিনি আমাকে সবসময় সবকিছুর মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতেন। দাদুর মৃত্যুর পরই আমি সিদ্ধান্ত নিই, অভিনেতা হব। তাহলেই প্রয়াত দাদুর জন্য কিছু করা হবে। এই ছবি হবে দাদুর প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।’