সাকিব-তামিম ছাড়া প্রথম ফাইনাল

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল দু’জনই দলে ছিলেন না। এমন ঘটনা বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘটছে চার বছর পর। কিন্তু দেশের এই দুই মহা তারকা একই সঙ্গে ফাইনাল খেলেননি এমন ঘটনাও ঘটলো গতকাল টাইগারদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে গতকাল ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচে তাদের দু’জনকে ছাড়াই মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এর আগে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরমেটের ক্রিকেটের টুর্নামেন্টে পাঁচবার ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। তার মধ্যে এশিয়া কাপেই তিনবার। প্রতিবারই ছিলেন তারা। টাইগারদের আগের পাঁচ ফাইনালের মধ্যে শুধুমাত্র একটি ম্যাচে সাকিব ছিলো না।

সেটি এ বছর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গতকাল এশিয়া কাপের আসরে তৃতীয় ও নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ৬ষ্ঠ ফাইনালে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল আসরের শুরুতেই ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েছিলেন এশিয়া কাপ থেকে। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের ঠিক আগে জানা যায় সাকিবও খেলতে পারছে না। ইনজুরি নিয়েই এশিয়া কাপ খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত সেটিই কাল হয়েছে।

আঙুলের ব্যথা এতটাই বেড়েছিল যে হাতে ব্যাট ধরতেই পারছিলেন না। বুধবার রাতে দেশে ফিরে আসেন। আর বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হলে তার অস্ত্রোপচার হয়।

বাংলাদেশ দল কোনো আসরে প্রথম ফাইনাল খেলে ২০০৯ এ। সেটিও ছিল দেশের মাটিতে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজ। সেই ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৫৩ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। তবে লঙ্কানদের জিততেও বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ২ উইকেটে জিতে যায় তারা।

এরপর দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার সুযোগ আসে ২০১২ সালে এশিয়া কাপে। তৃতীয় ফাইনালও এশিয়া কাপে। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২ রানে হারের আক্ষেপ এখনো ভুলতে পারেনি বাংলাদেশের মানুষ। এরপর ফের ফাইনাল খেলার সুযোগ আসে ২০১৬ এশিয়া কাপে। সেবার অবশ্য টি-টোয়েন্টি ফরমেটে খেলা হয়েছিল। ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে টাইগাররা হেরেছিল ৪ উইকেটে।

চতুর্থ ফাইনাল খেলে এ বছর দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে। এবার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেই দলের হয়ে খেলতে পারেননি সাকিব। আঙুলের ইনজুরিটি তার তখনই। ১০টি সেলাই লাগে তার আঙুলে যা এখনো ভোগাচ্ছে তাকে। তবে তামিম ছিলেন দলে। কিন্তু লঙ্কার ২২১ রান টপকাতে ব্যর্থ দল। অল আউট হয়ে যায় ১৪২ রানে। সব শেষ ফাইনাল খেলার সুযোগ আসে এই বছরই শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিদাহাস ট্রফিতে। লঙ্কাদের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আরেক প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। সেখানে দারুণভাবে ফাইনালে উঠে টাইগাররা। প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।