মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ খেয়ে নিষিদ্ধ শেহজাদ

বছর দুয়েক আগে স্ত্রীর ওষুধ খেয়ে ডোপ টেস্ট নিষিদ্ধ হয়েছিলেন পাকিস্তানের বর্ষীয়ান লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। তার ওই ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় হয়েছিল নানান হাস্যরস ও ব্যাঙ্গাত্মক কথাবার্তা। সে ঘটনা সবাই যখন ভুলতে বসেছে, তখন প্রায় একই আরেকটি ঘটনার জন্ম দিলেন পাকিস্তানের তরুণ ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।

ফর্মের পরতির কারণে লম্বা সময় ধরেই জাতীয় দলের বাইরে ২৬ বছর বয়সী এ ওপেনার। এর সাথে নতুন করে যোগ হয়েছে ডোপ পাপের পজিটিভ প্রমাণিত হওয়ায় চার মাসের নিষেধাজ্ঞা। যদিও ইতিমধ্যেই শাস্তির তিন মাস পার করে ফেলেছেন শেহজাদ। কারণ, শাস্তি কার্যকর করা হয়েছে জুলাই মাসের ১০ তারিখ থেকে। নভেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত চলবে এ শাস্তি।

তবে এ শাস্তির আড়ালে জানা গেছে তার ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণ। ডানহাতি এ ওপেনার জানিয়েছেন কোনো নিষিদ্ধ বস্তু নয়, বরং স্ত্রীর ভুলে মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ সেবন করাতেই ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছেন তিনি।

ঘটনা গত মে মাসে পাকিস্তান কাপের এক ম্যাচের আগের। বেলুচিস্তানের পক্ষে ম্যাচে নামার দিন সকালে শরীর খারাপ লাগছিলো স্ত্রীর কাছে নিজের নিয়মিত ওষুধ ‘গ্র্যাভিনেট’ চেয়েছিলেন শেহজাদ। তবে তার স্ত্রী ভুলবশত এনে দেন মায়ের ক্যান্সারের ওষুধ। এতেই বাঁধে বিপত্তি।

পরে ম্যাচে তার শারীরিক অবস্থা সন্দেহজনক মনে হলে ম্যাচের পরে তার ডোপ টেস্ট করায় টুর্নামেন্ট আয়োজক কর্তৃপক্ক। এতেই ধরা পড়ে যান শেহজাদ। যার ফলে তাকে গত জুলাই থেকে ৪ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।

এদিকে শাস্তি মেনে নিলেও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটা নিতে চাচ্ছেন শেহজাদ। সে লক্ষ্যে পিসিবির কাছে নিজের মায়ের প্রেসক্রিপশন পাঠিয়েছেন তিনি। এর সাথে নিজের ডাক্তার ও ফিজিওর লেখা ওষুধের তালিকাও দিয়েছেন। বাড়তি প্রমাণপত্র হিসেবে বর্তমান কোচ মিকি আর্থার, সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের থেকে নেওয়া চারিত্রিক সনদপত্রও জমা দিয়েছেন এ ডানহাতি ড্যাশিং ব্যাটসম্যান।