অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাড়া দুদকও কাজ করতে পারবে না: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ দুদক বিটের সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, অনুসন্ধানী রিপোর্ট ছাড়া দুদকও কাজ করতে পারবে না। দুদক গণমাধ্যমের অনেক রিপোর্ট আমলে নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে।

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নির্ভয়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করুন। তথ্য সঠিক হলে কেউ আপনাদের কিছু করতে পারবে না। দুদকের বিষয়েও যদি কোনো তথ্য থাকে তা নিয়েও প্রয়োজনে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করুন। এতে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাঁধা থাকবে না। প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি নিয়ে যে কোনো অনুসন্ধানী রিপোর্ট করলে ভয়ের কিছু নেই এবং কাউকে হয়রানি করা হবে না বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউটে দুদক বিটের সাংবাদিকদের জন্য অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল মাহমুদ এসব কথা বলেন।

দুদক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স অ্যাগেইনেস্ট করাপশন (র‌্যাক) ও পিআইবি’র যৌথ উদ্যোগে তিন দিনের এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন।

পিআইবি মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন র‌্যাকের সাবেক সভাপতি মিজান মালিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এইচএম সাগর ও বর্তমান কমিটির সাধরণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ।

সদ্য প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে বলে সংবাদকর্মীরা অভিযোগ করে আসছেন। এ প্রেক্ষিতে ইকবাল মাহমুদ সাংবাদিকতার মূল বিষয় হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা। এ সাংবাদিকতা চলমান থাকুক। আপনারা নিরুৎসাহিত হবেন না।

ডিজিটাল আইন নিয়ে সাংবাদিকদের ভীতি প্রসঙ্গে পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীর বলেন, সাংবাদিকতা কোনো আইন দিয়ে থেমে থাকেনি। আইন করে কোনো ভালো কাজকে আটকানো যাবে না। আইন হয় খারাপদের জন্য। কাজেই আইন নিয়ে ভীত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

অনুষ্ঠানে বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জনকণ্ঠ ও ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক নেই।

কয়েকজন সম্পাদক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধিতা করছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন অন্য সম্পাদকরা যদি আরেকটি সম্পাদক পরিষদ করেন তাহলে অবস্থা কী দাঁড়াবে।