কঠোর অনুশীলন টাইগারদের

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এখন বাংলাদেশ। এগিয়ে থাকার পরেও আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না মাশরাফিরা। তা বোঝা গেলো তাদের শরীরী ভাষাতেই। অনুশীলনে বিন্দুমাত্র ঘাটতি রাখলেন না কেউ। আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে পরিপূর্ণ ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে মঙ্গলবার ঘাম জড়িয়েছে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে।

চট্টগ্রামের ভেন্যু আগে থেকেই বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। সেই ভেন্যুতে বুধবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। ম্যাচটি ঘিরে দুপুর আড়াইটায় সাগরিকার পাড়ে বসবে জমজমাট ক্রিকেট হাট। তাই বুধবারই সিরিজ জিততে বদ্ধপরিকর মাশরাফি বাহিনী। তার আগে রাতটুকু বিশ্রাম নিয়ে তারা দ্বিতীয় ওয়ানডের ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামটা বেশ ভালো করে পরখ করে রাখলেন।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ৯টা অনুশীলন করার কথা ছিলো। তার আগে সকাল সাড়ে আটটায় মাঠে হাজির সবাই। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টানা অনুশীলন করে হোটেলে ফিরেছেন। তার মাঝে টাইগারদের জন্য সুখবর বয়ে আনলেন পেসার রুবেল হোসেন। জ্বরে ভোগা এই ক্রিকেটার এখন অনেকটাই সুস্থ। এদিন নেটে টানা বোলিং করেছেন। মাশরাফিও জানালেন সেই কথা। তবে সকালের আগে তড়িঘরি করে করতে চান না কিছু, ‘রুবেলের শরীর খারাপ ছিলো। এখন ভালো অবস্থায় আসছে। ফুল রান আপে বোলিং করেছে। একাদশ নিয়ে আমরা এখনো তেমন কিছু ভাবিনি। আমাদের হাতে যথেষ্ট সময় আছে, দেখা যাক পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।’

অনুশীলন শুরুর আগে মাশরাফি সতীর্থদের নিয়ে ছোটখাটো মিটিংও সেরে রাখলেন। তাকে ঘিরে স্কোয়াডের সব ক্রিকেটাররা দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাদ যাননি কোচিং স্টাফদের কেউ। প্রায় দশ মিনিটের এই সভাতেই হয়তো কালকের ম্যাচের পরিকল্পনা ঠিক করে রাখলেন অধিনায়ক। পুরো দল নিয়ে সভা শেষ করে পেসারদের নিয়ে আলাদা সভায় বসেন। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কোর্টনি ওয়ালশকেও মাশরাফির কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে দেখা গেলো। তার পরেই বোলিং অনুশীলন শুরু হয় পেসারদের।

মূল মাঠের ডান পাশের দুটি নেটে টানা বোলিং করেছেন রুবেল। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করলেন তাকে। কিছু কিছু ডেলিভারিতে বেশ কিছু পরামর্শও দিলেন নিজের সমৃদ্ধ ভাণ্ডার থেকে। অনুশীলন শেষে রুবেল জানালেন নিজের ফিটনেস আর বোলিং নিয়ে তার প্রস্তুতির কথা, ‘শরীর এখন পুরোপুরি সুস্থ। বোলিংটা ভালোই হয়েছে।’

মুখে না বললেও বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট, কালকে সিরিজ নিজেদের করে রাখতে চাইছেন মাশরাফিরা। বোলারদেরকে নিয়ে প্রধান কোচ স্টিভ রোডসের ব্যাটিং অনুশীলনে কেউ এতোটুকু মনোযোগহীন হওয়ার চেষ্টা করেননি। নাজমুল হোসেন অপু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার রনি কেউই বাদ যাননি অনুশীলন থেকে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি দুই ভাগে ভাগ করে ফিল্ডিংও অনুশীলন করানো হয়েছে তাদের। সবমিলিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচের আগে কঠোর অনুশীলন করেই বাংলাদেশ তাদের প্রস্তুতি সেরে রাখলো। চট্টগ্রামে বুধবার দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ খেলে একই ভেন্যুতে শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে খেলবে স্বাগতিকরা।