রহস্যময় কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে নতুন তথ্য পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা!

মহাকাশে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ঘটনা ঘটছে। রহস্যময় কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে তেমনই প্রমাণ পেলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, তারা প্রমাণ পেয়েছেন বিশাল আকারের কৃষ্ণ গহ্বরগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। যা প্রমাণ করছে মহাজাগতিক বিবর্তনের। যার অর্থ, ছায়াপথ এবং তার কৃষ্ণ গহ্বরগুলি পরস্পরের সঙ্গে মিশে গিয়ে আরও বড় হয়ে যাচ্ছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পরস্পরের সঙ্গে মিশে যাওয়ার আগে কৃষ্ণ গহ্বরগুলি দ্বৈত কৃষ্ণ গহ্বর তৈরি করে। তারপর প্রতিটি কৃষ্ণ গহ্বর একে অপরকে প্রদক্ষিণ করতে থাকে। ২০১৫ সাল থেকে দূরবীক্ষণের সাহায্যে এভাবে কৃষ্ণ গহ্বরের পরস্পরকে প্রদক্ষিণের প্রমাণ তারা লক্ষ্য করেছেন।

তারা জানান, যখন গহ্বরগুলি মিশতে শুরু করে পরস্পরের মধ্যে তখন মাধ্যাকর্ষণকারী তরঙ্গ তৈরি হয়। তবে ওই তরঙ্গ নিয়ে পরীক্ষা চালানোর মতো প্রযুক্তি এখনও তৈরি হয়নি পৃথিবীতে। এই বিশাল কৃষ্ণ গহ্বরগুলি শক্তিশালী কণা উৎক্ষেপণ করে। যার ফলে ছায়াপথের কেন্দ্রের গতিপথ বদলাতে থাকে। এই কণাগুলি বিভিন্ন দিকে উৎক্ষেপিত হয়।

কৃষ্ণ গহ্বরের এই শক্তিশালী কণাই ছায়াপথে নক্ষত্রের জন্মের কারণ বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। ঠান্ডা গ্যাস থেকে হয় নক্ষত্রের জন্ম। এই কণাগুলি সেই গ্যাসকে উত্তপ্ত করে এবং তার ফলে তৈরি হয় নক্ষত্র। কৃষ্ণ গহ্বরের কণাগুলি যেহেতু বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সেহেতু তারা আরও বেশি করে গ্যাস উত্তপ্ত করতে পারে এবং তার ফলে জন্ম হয় ছায়াপথের নতুন নতুন নক্ষত্রের।