বেনাপোল বন্দরে নো-এন্ট্রির চোরাচালানকৃত পন্যসহ ভারতীয় ট্রাক আটক

বেনাপোল স্থল বন্দরে নো-এনিট্রর চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতীয় ট্রাকে আসা ৬৫১ কার্টুন জিলেট ফোমসহ একটি ভারতীয় ট্রাক আটক করা হয়েছে। ভারতীয় গাড়ি নং এন এল এসি-৬৬৫৪। ভারতীয় পন্যবাহি ট্রাকটি বাংলাদেশে গত ১৩ মার্চ ঢোকার পর থেকে কাস্টমসের ইনভেস্টিগেশন রিচার্চ এন্ড ম্যানেজমেন্ট টীম ( আই আর এম) নজরে রাখে।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বুধবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় বলেন, ভারতীয় ট্রাকটি ৯ নং শেডে কিছু পন্য খালাস করে, বাকি পন্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। এতে কাস্টমসের আই.আরএম টিম নিশ্চিত হয় ট্রাকে রাখা অবশিষ্ট মালের কোন কাগজপত্র নাই। এরই এক ফাঁকে ভারতীয় ট্রাকের চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরের ১ নং শেডের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশী চালকদের সহায়তায় ট্রাকটি বেনাপোল কাস্টমস হাউজে আনা হয়। আটককৃত ট্রাকটির তালা ভেঙ্গে পন্য গননা করা হয়। এতে চোরাচালানের মাধ্যমে মিথ্যা ঘোষনায় আনা ৬৫১ কার্টুনে মোট ৭৮১২ টি জিলেট সেভিং ফোম পাওয়া যায়। যার শুল্কায়ন ওজন ৩২৬৫.৪১৬ কেজি।

বেনাপোল বন্দরের ৯ নং শেডে খোজ নিয়ে জানা যায়, ট্রাকটিতে একটি মেনিফেষ্টের মাধ্যমে তিনটি পন্যচালান আনা হয়। ট্রাকটি থেকে টেক্সটাইল ডাইস ঘোষনাকৃত তিনটি পন্য চালানই গ্রহন করেন শেড ইনচার্জ। তিনি ট্রাকের অবশিষ্ট পন্যর বিষয়ে কোন কিছু অবহিত নয় বলে জানান।

বেনাপোল কাস্টমে আটকৃত ট্রাকের ভিতরের পন্যর প্রতিটি কার্টুনে শিপিং টু প্রজেক্ট এন্ড গ্যাম্বেল বাংলাদেশ প্রাইভেট লিঃ লেখা ষ্টিকার রয়েছে।

কাস্টমস কমিশনার বলেন, উক্ত আমদানি কারকের সিএন্ডএফ এজেন্ট রুমা ইন্টারন্যামনাল এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা তাদের মাল নয় বলে জানান।

তিনি বলেন, এ ভাবে একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। এ পন্য উক্ত আমদানি কারক সরকারের ১৬ লাখ টাকার শুল্ক ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন। তবে এর সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবং আটককৃত ভারতীয় ট্রাক ও পন্য নিলামে বিক্রয় করা হবে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যসোসিয়েশন এর সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, যারা এ ধরনের নো-এন্ট্রির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কারন এসব অসাধু ব্যবসায়ির জন্য বেনাপোল বন্দরের সুনাম ক্ষুন্ম হচ্ছে।