ঝড়ে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার শতাধিক ঘরবাড়ি ও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিদ্ধস্ত হয়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা, ক্ষতি হয়েছে ছোট বড় কয়েকটি সড়কের। শনিবার ভোরে বৃষ্টির সাথে হঠাৎ ঝড়ে এসব ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এর মধ্যে সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া দক্ষিনপাড়া, পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, মির্জাপুর, গুজিহাটি ও পিসি ডেমা এলাকায় প্রায় ৫০টি কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি ঝড়ে বিদ্ধস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে কাড়াপাড়া গ্রামের নিবাস বিশ্বাস নামের এক মুরগী ব্যবসায়ীর ৫টি মুরগীর ঘর ভেঙ্গে গেছে। এতে তার বেশ কিছু মুরগী মারা গেছে। ওই গ্রামের কাড়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কাড়াপাড়া গ্রামের রাস্তার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এছাড়া কচুয়া, শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে।
নিবাস বিশ্বাস বলেন, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে লাফ দিয়ে উঠি। দ্রুত ঘরের বাইরে বের হয়ে দেখি সব কটি মুরগীর ঘরের উপর গাছ পড়ে ভেঙ্গে গেছে। আমার থাকার ও রান্নার ঘরও ভেঙ্গে গেছে। প্রতিবেশী তাপস ও বিকাশের ঘরও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কাড়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল্লাহীল বাকী বলেন, হঠাৎ ঝড়ে রাস্তার উপরের ৪টি মেগনি (রেইন ট্রি) গাছ উপড়ে পড়েছে। এতে রাস্তার অর্ধাংশ ভেঙ্গে গেছে।
স্থানীয় উপি সদস্য শেফালী বেগম বলেন, ঝড়ের খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। কয়েকটি কাঁচাপাকা ঘর, রাস্তা ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কারও কারও টিউবওয়েলও ভেঙ্গে গেছে। এদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়া প্রয়োজন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।