ইংল্যান্ড ৪৪ বছরের ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছে। সেই স্মৃতি তাদের এখনও তরতাজা। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটের নায়ক বনে গেছেন বাটলার-স্টোকসরা। ইংলিশদের ক্রিকেট প্রজন্মকে নাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বকাপ এনে দেওয়া নায়করা এখন ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তোলা, অটোগ্রাফ দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। এরমধ্যে টি-২০ বিশ্বকাপ, তার অধিনায়ক কে হবেন। ট্রেভর বেলিস কোচ থাকবেন কি-না এসব নিয়ে কথা তোলা বেরসিকের কাজ। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের সদস্যরাই নতুন ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। শিরোপাজয়ী ক্রিকেটার এবং কোচদের কথা শুনলেই তা বোঝা যায়।
আয়ারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ৩২ বছর বয়সী ইয়ন মরগান লর্ডসে ইংল্যান্ডকে স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার ক্ষণ এনে দিয়েছেন। আরও একটি বিশ্বকাপ হয়তো তিনি খেলতে পারবেন। জোর দিয়ে বলার উপায় না থাকলেও সম্ভাবনা ফেলে দেওয়া যায় না। তবে মরগান জানিয়েছেন, ক্রিকেট থেকে একটু ছুটি নিয়ে তিনি ভাববেন, চার বছর পরের বিশ্বকাপ দলে তার জায়গা হবে কি-না। ভারতে ২০২৩ সালে বসবে পরবর্তী বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপ নিয়ে মরগান ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের কোচ ট্রেভর বেলিস বলছেন, আগামী বিশ্বকাপ মরগান খেলতে পারুক বা না পারুক। খেললে দলের নেতৃত্বে থাকুক বা না থাকুক তার আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের অধিনায়ক থাকা উচিত। দলকে আরও একটা ট্রফি জেতাতে তার নেতৃত্ব জরুরি। বেলিস বলেন, ‘টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে ১২ মাস পরেই। আমি মনে করি, মরগান তার দলকে নেতৃত্ব দিতে চাইবে। মরগান শুধু এই দলটার অধিনায়ক নন বরং মাঠের বাইরেও অনেক কিছুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তার নেতৃত্বেই দলের অন্যরা কঠিন একটা বাধা টপকালো।’
অস্ট্রেলিয়ান কোচ ট্রেভর বেলিসও ইংল্যান্ডের দায়িত্বে থাকবেন কি-না বলা যাচ্ছে না। ২০১৫ সালে দলের কোচ হন তিনি। আসছে অ্যাসেজ পর্যন্ত তার মেয়াদ। ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়ক জস বাটলারও মনে করছেন, মরগান টি-২০ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বাটলার বলেন, ‘ইংল্যান্ডকে অসাধারণ এক শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি। আমাদের সেরা অধিনায়ক মরগান। দলের সবাই তাকে খুবই পছন্দ করেন। আমি মনে করি তিনি নেতৃত্ব চালিয়ে যাবেন। তার এখনই থেমে যাওয়ার কোন কারণ নেই। তার সামনে এখনও অনেক সময় পড়ে আছে।’