অবসর নিয়ে যে ঘোষণা ধোনির

মহেন্দ্র সিং ধোনি আপাতত দু-মাস ক্রিকেটের বাইরে। প্যারা মিলিটারি ফোর্সের প্রশিক্ষণে যোগ দেবেন তিনি। তাই তাঁকে যেন আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য বিবেচনা না করা হয়। এভাবেই বিসিসিআইকে জানিয়ে দিলেন নিজের পরিকল্পনার কথা।

ধোনির বন্ধু অরুণ পাণ্ডে জানিয়েছেন, আপাতত অবসরের কোনো পরিকল্পনাই নেই ধোনির। অর্থাৎ অবসর নয়, ক্রিকেট থেকে কিছু সময় দূরে থাকা আরকি। তার পরই পুরোদমে ফিরতে চান তিনি ২২ গজে।

এদিকে ধোনির নির্বাচন নিয়ে কার্যত দ্বিধায় ভুগছিলেন নির্বাচকরা। নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ আগেই বলেছিলেন, ‘ধোনি অবসর না নিলে তিনি আর প্রথম একাদশে অটোমেটিক চয়েস নন। ভারতীয় ক্রিকেটে মেন্টর হিসেবে দলের সঙ্গে যুক্ত করারও পরিকল্পনা রয়েছে।’

অবশ্য বিশ্বকাপের পরেই অনেক বোর্ড কর্তাই ভেবেছিলেন ধোনি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তবে তিনি তা করেননি। এতেই কর্তারা বেশ বিস্মিত হয়েছিলেন। তাই কর্তারা বলে দিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধোনির বিশাল অর্জন। নতুন করে আর কিছু প্রমাণ করার নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও যদি সে খেলতে চায়, সেখানেও হয়তো কিংবদন্তিকে হতাশ হতে হবে। কারণ আর নির্বাচন করা হবে না তাঁকে।’

ধোনিকে প্রায়ই ক্রিকেট সফরের মাঝে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দেখা যায়। সেনাবাহিনীর প্রতি ভালোবাসা অনেক বারেই ব্যক্ত করেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপেও সেনাবাহিনীর লোগো গ্লাভসে ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বিতর্ক এড়াতেই কী ধোনি এবার সেনাবাহিনীতে চললেন?

এদিকে ধোনি অবসরের পর রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন, এমন খবর বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায়। ২২ গজকে বিদায় জানালেই ধোনি বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন, তা নিয়েও খবরের শিরোনাম হচ্ছে। আবার শোনা যাচ্ছে, ভারতের সাবেক অধিনায়ক শুধু বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন না, ঝাড়খণ্ডের আসন্ন নির্বাচনে নাকি মুখ্যমন্ত্রীর পদে প্রার্থী হতে পারেন।

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাসোয়ান দাবি করেছিলেন, ধোনির সঙ্গে বিজেপির কথাবার্তা চলছে। তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন অবসরের পর।

ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন আরো কিছুদিন পর। শোনা যাচ্ছে, সেই নির্বাচনে নাকি বিজেপি ধোনিকে সামনে রেখে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। প্রথমে শোনা গিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ধোনিকে বিধায়ক করার। তবে এবার নাকি পরিকল্পনা বদলে সরাসরি ধোনিকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারেই বসাতে চাইছে বিজেপি।