চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় আবির হোসেন (১১) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কয়রাডাঙ্গা মাদ্রাসার পাশে ইটভাটা আম বাগান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবির ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খালিশপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে এবং চুয়াডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানায়, আবিরকে গত মাসে মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে এশার নামাজের পর নিখোঁজ হয় আবির। এরপর মাদ্রাসার সবাই অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে গ্রামবাসী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে মাথাবিহীন একটি মরদেহ দেখতে পায়। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
সকাল ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সি।
এসময় পুলিশ সদস্যরা নিহত ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করতে গেলে উত্তেজিত হয়ে ওঠে গ্রামবাসী। তারা মাদ্রাসা ছাত্র আবিরের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে।
পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। আশ্বাস দেওয়া হয় ঘাতককে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে,কয়রাডাঙ্গা গ্রামে মাদ্রাসা ছাত্রের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মাদ্রাসা থেকে ছাত্রদের তাদের অভিভাবকরা নিজ নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।
মাদ্রাসার প্রধান মুহতামিম মুফতি মোহাম্মদ আবু হানিফ জানান, মঙ্গলবার এশার নামাজের সময় ওজু করতে বেরিয়ে ছেলেটি আর ফেরেনি। রাতেই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। বুধবার সকালে তার মাথাবিহীন মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ জানান, আবিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।