প্রত্যাবাসন নিয়ে সংলাপে বসতে চান রোহিঙ্গারা

প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপে বসতে চান রোহিঙ্গারা।

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পের বর্ধিত অংশের মাঠে আয়োজিত রোহিঙ্গা সমাবেশ থেকে এই সংলাপের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ঢলের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার এই সমাবেশের আয়োজন করেন রোহিঙ্গারা। সকাল ৯টার দিকে শুরু হওয়া সমাবেশ শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে।

সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামক সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ ও জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ উল্লাহ। অন্য রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দের মধ্যে নূর হাকিম, মো. কামাল, আব্দুর রহিম, নূর আলম, নারী নেত্রী হামিদা প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে মিয়ানমারে নিহত রোহিঙ্গাদের স্মরণে দোয়া করা হয়।

এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই রোহিঙ্গারা দলে দলে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে থাকেন। অন্তত পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শেষ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে মঞ্চে থাকা রোহিঙ্গা নেতাদের সবাই তাদের নিজস্ব রীতির সাদা পোশাক পরিহিত ছিলেন। সমাবেশে আগত রোহিঙ্গাদের অনেকেও এসেছিলেন তাদের নিজস্ব রীতির পোশাকে।

সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিতে হবে এবং ভিটেমাটি ফিরিয়ে দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন করতে হবে।

এছাড়া মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সেদেশে ক্যাম্পে যে এক লাখ ২৮ হাজার রোহিঙ্গাকে রাখা হয়েছে তাদের বাসস্থানে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

সমাবেশে আগত রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে নেতারা বলেন, ‘আমাদের সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের যদি মিয়ানমারে ফিরে যেতেই হয়, তাহলে আমরা একসাথে যাব, একসাথে সীমান্ত পার হব।’

পরে রোহিঙ্গা ভাষায় কবিতা পাঠ ও সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সমাবেশের সমাপ্তি ঘটে।