রাবি শিক্ষকের যৌন হয়রানি: তদন্তে কালক্ষেপনের অভিযোগ

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তদন্ত শেষ করতে পারেনি কমিটি। তদন্তে কালক্ষেপণের অভিযোগ তুলে বিচার বিঘিœত হবে আশঙ্কা করছেন অভিযোগকারী ছাত্রীদের সহপাঠীরা।

সম্ভাব্য শাস্তি থেকে বাঁচতে অভিযুক্ত শিক্ষক বিভিন্ন জায়গায় তদবির চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের। দ্রুত তদন্ত শেষ করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন তারা।

গত ২৫ ও ২৭ জুন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ দেন। পরে গত ২৮ জুন শুক্রবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিতে অভিযোগকারী ছাত্রীদের চাপ দেয়া হচ্ছে এই মর্মে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় দুটি জিডি করা হয়।

ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বিষ্ণুকুমারকে শিক্ষাকার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যহতি দেয়া হয়। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে পরিচালককে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গত ২১ জুলাই অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেয়েছে উল্লেখ করে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি প্রতিবেদন দেয় কমিটি।

এই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জুলাই বিশ^বিদ্যালয়ের ৪৯২তম সিন্ডিকেট সভায় সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসকে আহ্বায়ক করে যৌন হয়রানী নিরোধ সেলটি কার্যকর করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান এই সেলকে বিষ্ণুকুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন।

কমিটি গঠনের ২ মাস পেরোলেও তদন্ত শেষ করতে না পারায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, শাস্তি থেকে বাঁচতে ওই শিক্ষক বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে বেড়াচ্ছেন। ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের উস্কানী দেয়ারও চেষ্টা করেছেন। এভাবে যদি তদন্ত কমিটি দেরী করে তাহলে তিনি পার পেয়ে যেতে পারেন। আমরা চাই দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে তার যথাযথ বিচার হোক।

জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, তদন্তের কাজ চলছে। বিভিন্ন জনকে নিয়ে বসতে হয় বলে তদন্তে দেরী হচ্ছে। অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনওই কিছু বলা যাচ্ছে না। শেষ হলে আমরা জানাবো।