যশোরে বলাৎকারের অভিযোগে মুয়াজ্জিনকে গণধোলাই, পাল্টা পাল্টি অভিযোগ

jessore map

যশোরের সদর উপজেলায় উপশহর ই-ব্লকে দুই শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে গণধোলাই দিয়ে দিয়েছে স্থানীয়রা। গত ৫ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন মাহামুদুল হাসান সোহেল (২৫) কে মারপিট করেছে স্থানীয়রা। তিনি উপশহরের উ-ব্লকের ইউনুচ আলীর ছেলে।

তবে মুয়াজ্জিন দাবি করেছেন, দশ বছরের শিশু রাইয়ান রহমানের বাড়িতে তিনি আরবি পড়াতেন। তিনি মসজিদের মুয়াজ্জিনের চাকরির সাথে যশোর কলেজে অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করেন। ২৪ অক্টোবর তার সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা। এজন্যে রাইয়ানের বাড়িতে তিনি পড়াতে যেতে অস্বীকার করেন এবং মসজিদে এসে পড়তে অনুরোধ জানান। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রের মায়ের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসছিলো। তিনি আর পড়াতে যাবেন না জানতে পেরে ওই ছাত্রের মা তাকে ফাঁসাতে ছেলেকে দিয়ে মিথ্যা বলৎকারের অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন।

এক শিশুর পিতা সাইদুর রহমান জানান, আমার ছেলে মসজিদের মুয়াজ্জিন মাহমুদুল হাসান সোহেলের কাছে নিয়মিত আরবি পড়ে। গত ৫ অক্টোবর বিকালে ওই শিশুকে মুুয়াজ্জিন তার কক্ষে নিয়ে বলাৎকার করে। এ সময় ঘটনাটি কাউকে বলতে নিষেধ করে মুুয়াজ্জিন। পরে রবিবার বিকালে তার মা আরবি পড়তে যেতে বললে কিন্তু সে যেতে রাজি হচ্ছে না। একপর্যায়ে মুয়াজ্জিনের ঘটনা ফাঁস করে দেয় আমার ছেলে। ঘটনাটি এক প্রতিবেশীকে জানালে ওই প্রতিবেশী জানায়, তার ছেলেকেও বলাৎকার করেছে মুয়াজ্জিন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, আটক মুয়াজ্জিন মাহমুদুল হাসান সোহেলকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।