‘মার্কিন নীতি ব্যর্থ, সৌদি-ইরান সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে’

সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা অনেকটাই কমে আসছে। সৌদির সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি এমন আভাসই দিয়েছেন।

তেহরান থেকে প্রকাশিত দৈনিক এতেমাদ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সৌদি আরবের মতো আঞ্চলিক দেশগুলো এখন একথা উপলব্ধি করেছে যে, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক সহযোগিতার বিকল্প নেই।

সৌদির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্টের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেন ইরানি প্রেসিডেন্টের চিফ অব স্টাফ।

তেহরান-রিয়াদ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে মাহমুদ ওয়ায়েজি বলেন, অতীতে সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু মার্কিন সরকারের উসকানিমূলক আচরণের কারণে এ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, সৌদি আরবসহ আরো কিছু দেশ মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার যে আগ্রহ দেখিয়েছে তাতে এ অঞ্চলের ব্যাপারে মার্কিন উসকানিমূলক নীতি ব্যর্থ হবেই।

এর আগে সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দেশ দুটিকে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সৌদি আরব এবং ইরানকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে মুখোমুখি বৈঠকে বসার ব্যবস্থা করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

এ লক্ষ্যে তেহরান সফর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

২০১৫ সালে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হামলা চালালে তেহরান ও রিয়াদের উত্তেজনা শুরু হয়। সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার পর দুই দেশের উত্তেজনা তুঙ্গে ওঠে।