এক ‘ট্রিপল সেঞ্চুরি’, ওলট-পালট ইতিহাস!

অ্যাশেজে ডেভিড ওয়ার্নারই ছিলেন দলের সবচেয়ে বাজে পারফর্মার। টেলএন্ডারের ব্যাটসম্যানদেরও অনেকে তাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পাঁচ টেস্টে ১০ ইনিংসে মাত্র ৯৫ রান করেছিলেন। অ্যাশেজের পর তাই দল নির্বাচনে ওয়ার্নারকে নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে বাঁহাতি ওপেনারের পাশে দাঁড়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ঘরের মাঠে তারই প্রতিদান দিলেন ওয়ার্নার। অ্যাডিলেড টেস্টের প্রথম দিনেই ২৩তম সেঞ্চুরি করে সাবেক বাঁহাতি ওপেনার ল্যাঙ্গারকে স্পর্শ করেন বর্তমান বাঁ হাতি এই ওপেনার।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ওয়ার্নার যা করলেন, তা শুধু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে নয় বিশ্ব ক্রিকেটেও নেই। অ্যাডিলেডে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসের মাইলফলক।

আগের সর্বোচ্চ রানের এই রেকর্ডটি ছিল কিংবদন্তি স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের। ঘটনাটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরও আগের। ১৯৩২ সালে অ্যাডিলেডে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্র্যাডম্যান ২৯৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
অস্ট্রেলিয়া সে ম্যাচে অলআউট হলেও অন্য প্রান্তে ক্রিজে ছিলেন ব্র্যাডম্যান। যা ছিল অ্যাডিলেড ওভালে কোনো ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। ৮৭ বছর পর ওয়ার্নার ভাঙলেন সেই রেকর্ড। ২৯৬ রানে অপরাজিত থাকা ওয়ার্নার পাকিস্তানি পেসার আব্বাসের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে এ মহাকীর্তি গড়লেন বাঁহাতি ওপেনার। ৩৮৯ বলে কোনো ছক্কা হাঁকাননি এ হার্ডহিটার, ৩৭ বলকে বাউন্ডারিতে পরিণত করেছেন তিনি।

এ দিকে, গোলাপি বলে টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসর রেকর্ডও নিজের করে নেন অজি ওপেনার। এর আগে পাকিস্তানের আজহার আলীর দখলে ছিল এ রেকর্ড। ২০১৬ সালে দুবাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্টে ৩০২ রান করেন আজহার।

অ্যাডিলেডের মাঠে ব্র্যাডম্যানের পর প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আড়াইশ রানের রেকর্ডটিও গড়েন ওয়ার্নার। এ ভেন্যুতে তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটিও একজন অজি ব্যাটসম্যানের। তিনি হচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের অধিকারী রিকি পন্টিং।