অভয়নগরে অধ্যক্ষ ও সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে অভিভাবকদের বিক্ষোভ

যশোরের অভয়নগরে মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ এবং সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া বাজারে মহাকাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ৭২ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কঠোর কর্মসূচি ঘোঘণা করা হয়েছে।

সরেজমিনে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষের কক্ষে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন এবং অধ্যক্ষ ও কলেজ পরিচালনা পর্যদের সভাপতির পদত্যাগ দাবি করছে। পাশাপাশি অভয়নগর থানা পুলিশও রয়েছে।

এসময় বিক্ষুব্ধ অভিভাবক তাসলিমা বেগম, ফাতেমা বেগম, দুলালী সিংহ, মন্টু ঘোষ, বিউটি বেগম, জাহিদ হাসান, মনোয়ারা বেগম, মহমিনা খাতুন সহ প্রায় অর্ধশতাধিক অভিভাবক জানান, আমাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়েছি শিক্ষাগ্রহণের জন্য, কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য নয়। স্কুল চলাকালিন সময় গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ওই কলেজের অধ্যক্ষ এবং সভাপতি অভয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিনারা পারভীন শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনের কথা বলে চেঙ্গুটিয়া বাজারে যশোর-খুলনা মহাসড়কে নিয়ে যায়। কিন্তু মানববন্ধন না করিয়ে শিক্ষার্থীদের উস্কে দিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় চেঙ্গুটিয়া বাজারের ইদ্রিস আলী গাজীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে হুশিয়ার প্রদান করেন তারা। পরে অভিভাবকরা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

পুলিশের উপস্থিতর কারণ জানতে চাইলে অভয়নগর থানার এসআই মহসীন আলী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোলযোগ হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এখানে এসেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

নওয়াপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের (স্থানীয়) কাউন্সিলর আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস জানান, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু হলেই বতর্মান সভাপতি মিনারা পারভীন পুলিশ ডেকে মানুষের মাঝে আতংক সৃষ্টি করে নিজের ক্ষমতা জাহির করেন। শিক্ষার্থীদের দিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট করা ঠিক হয়নি।

শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটের ব্যাপারে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান এ মজলিসের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মিনারা পারভীনের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তেমন কিছু ঘটেনি। একটি পক্ষ পুরুষ ও মহিলা ভাড়া করে অভিভাবক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যেসব অভিভাবকরা বিক্ষোভ করেছে তাদের সন্তানরা আমার বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে না। আর শিক্ষার্থীদের দিয়ে কোন মানববন্ধন, হামলা বা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি।