ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় রাবিতে প্রতিবাদ

ভারতের দিল্লীতে বিজেপি আরএসএস সাম্প্রদায়িক হত্যাকান্ড চালাচ্ছে দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট।

রোববার ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই মানববন্ধন অনুুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত বলেন, ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছিল তা ধ্বংস করার জন্য বিজেপি সরকার এ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালাচ্ছে। কারণ যত সাম্প্রদায়িকতা বাড়বে সাম্প্রদায়িক শক্তি তত শক্তিশালী হয়ে উঠবে, জনগণ বিভাজিত হবে। তখন সাম্প্রদায়িক শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করতে পারবে। এ সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পের ছোঁয়া যেন বাংলাদেশে না লাগে সেদিকে সচেতন থাকার জন্য এদেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্ববান জানান তিনি।

ভারত, মায়ানমারকে চিহ্নিত করে তিনি বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িকতা দক্ষিণ এশিয়ার দেশসূমহের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান ও চিহ্নিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রদায়িক আক্রমণ, বৈষম্য, নিপীড়ন, নির্যাতন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও উগ্রবাদ ইত্যাদি এদেশসমূহের সাথে সম্পৃক্ত হয়েগেছে।

রাবি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মহিউদ্দীন মানিক বলেন, সহিংসতা-দাঙ্গা নয়, চাই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকেন্দ্রীক যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতের নয়াদিল্লীতে আন্দোলন চলে আসছে, এটিকে ইস্যু করে ভারত সরকার সংখ্যালঘুদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এ সহিংসতায় শুধু সংখ্যলঘুরাই নির্যাতিত ও আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে না। আঘাত প্রাপ্ত হচ্ছে মানবতার-মানবজাতির। এ অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর জনতাকে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুত্ববাদী শাসন শুরু করেছে। এটি হিন্দু-মুসলিম কোন দাঙ্গা নয়। এ সহিংসতার কেন্দ্রে রয়েছে এমন রাজনীতি, যার প্রধান কৌশল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ধর্মীয় পরিচয়কে ব্যবহার করা। মোদী তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য হিন্দুদের হাতে নিয়ে তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। সে চায় সম্প্রদায়িক দাঙ্গা পুরো এশিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। এ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যেন বাংলাদেশে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায়ের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাবি শাখার বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক রনজু হাসান, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহব্বত হোসেন মিলন প্রমুখ।