অভয়নগরে জমি কিনে বিপাকে শিক্ষক সিদ্দিক

যশোরের অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন। খেটেছেন জেলও। ক্রয়কৃত জমি থেকে উচ্ছেদে মরিয়া হয়ে উঠেছেন জসিম উদ্দিন ও হাজী মো. খোকন মোল্যা। নির্মাণাধীন বাড়ির কাজ বন্ধে করতে ১৪৪ ধারাও জারি করেছেন তারা। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান।

স্থানীয়ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান ও তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে সিদ্দিকুর রহমান তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, অভয়নগর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত হানেফ মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান মোল্যার কাছ থেকে ২০১৬ সালে বালিয়াডাঙ্গা মৌজার ১৮৯০ দাগে ৮ শতক জমি ক্রয় করি। যার দলিল নং- ২১৪৪/১৬। এছাড়াও একই দাগে নাজিম উদ্দিন মোল্যার কাছ থেকে ৬.২৯ শতক জমি ক্রয় করি। যার দলিল নং- ৩২৫০/১৬। ১৪.২৯ শতক জমি ক্রয়ের পর থেকে আমি ভোগদখল করে আসছি। ওই ক্রয়কৃত জমি থেকে থেকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একই গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে জসিম উদ্দিন ও মৃত নাজের মোল্যার ছেলে হাজী মো. খোকন মোল্যা। তারা নিজেদের মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল হাজত খাটিয়েছেন। এখানেই ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা। প্রতিনিয়ত দিচ্ছে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি। ক্রয়কৃত জমিতে আমি পাকা বাড়ির নির্মাণ কাজ শুরু করি। কিন্তু ওই প্রতারকদ্বয় আমার নির্মানাধীন বাড়ির কাজ বন্ধ করতে আদালতের মাধ্যমে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বন্ধ হয়েছে বাড়ির নির্মাণ কাজ। নষ্ট হচ্ছে নির্মাণ সামগ্রী রড, সিমেন্ট, বালু, পাথর সহ বিভিন্ন মালামাল।

তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রত সময়ের মধ্যে বাড়ির নির্মাণ কাজ পূণরায় শুরু এবং জসিম উদ্দিন ও হাজী মো. খোকন মোল্যার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন। সংবাদ সেম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষকের স্ত্রী নুরুনাহার বেগম ও ছেলে মেহেদী হাসান ইমন।