শার্শা উপজেলায় ২৪২ প্রবাসীর বাড়িতে লাল পতাকা

করোনা সমগ্র পৃথিবীর এক আতংকের নাম। মহামারি আকারে সারা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই করোনা। আক্রান্তদের রাখা হয়েছে হাসপাতালে আর যারা বিদেশ ফেরত তাদেরকে রাখা হয়েছে
হোম কোয়ারেন্টাইনে। যশোরের শার্শা উপজেলা এর ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে উপজেলায় ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ থাকা ২৪২ ব্যক্তির বাড়িতে ‘লাল পতাকা’ স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয় উপজেলা পরিষদের নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তাদের নিজ নিজ এলাকার বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে দিয়েছেন।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ডাঃ ইউসুফ আলী জানান, ইটালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ভারত, সৌদিআরব, ওমান থেকে আসা এই ২৪২ জনের বাড়ি শার্শা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর এরা বাড়িতে অবস্থান না করে স্থানীয় বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখে স্থানীয়রা ভীতসন্ত্রস্থ্য হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানান। “পরে তাদেরকে বাইরে ঘোরাফেরা না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়ে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ইউসুফ আলি জানিয়েছেন, নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টা আইসোলেশন বেড, ৫০টি কোয়ারেনটাইন ইউনিট বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৪২জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। “এ পর্যন্ত উপজেলায় কোন করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) রোগে আক্রান্ত রুগি পাওয়া যায়নি।”

এদিকে বাগআঁচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবীর বকুল তার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ৭০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পাঠানো শুরু করেছেন।

ইলিয়াছ কবীর বকুল বলেন, বুধবার বিকেল থেকে যারা হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলছেন তাদের বাড়িতে চাল, ডাল, তেল, পেয়াজ, কাচাঁবাজার ও ফল পাঠানো শুরু করেছি। আইন মেনে চলায় বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ওই পরিবারের কেউ বাজারে যেতে পারছে না তাই এই উদ্যোগ নিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, বিদেশ থেকে ফিরে আশা ২৪২ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ভারত থেকে ফেরত ব্যক্তিদের ব্যাপারে খোঁজ খবর প্রশাসনকে অবহিত করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এব্যপারে সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে।